নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল সাংগঠনিক পার্টি অফিসে কর্মী সম্মেলনে এসে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,দিদিমনি উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে ওখানে গিয়ে ছিলেন হাদ্রাশের গল্প বলেছেন এবং সেই দুই জায়গায় বিজেপি সবকটা ভোট এগিয়ে আছেন।
এখান থেকে দিদিমণি গিয়ে উল্টাপাল্টা হিন্দি বলে অখিলেশের দোকানটা বন্ধ করে দিয়েছেন। পাঞ্জাবি প্রথমবার বিজেপির নেতৃত্ব নির্বাচনে লড়া হয়েছিল মানুষ ভোট দিয়েছেন আমরা সিট কয়েকটা পাবো। কংগ্রেস ওখানে যেভাবে এত দিন রাজত্ব করেছে। কংগ্রেস বরাবরের জন্য পারিবারিক রাজনীতি করে এসেছে। বারবার মুখ্যমন্ত্রী বদল ইত্যাদি, যে মূল সমস্যা গুলো পাঞ্জাবের কোনো সমাধান হয়নি।
তাই সাধারন মানুষ দিল্লিতে যেভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেছে। একবার আপকে দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছে। আমার মনে হয় কংগ্রেসের যে ট্রেডিশনাল পলিটিক্স। পরিবার বাদ সেগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষের যত দুর্নীতি বিচ্ছিন্নতাবাদ এই সবগুলোর জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস।
গোয়ার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওয়াতে উড়ে গিয়ে কেউ যদি টাকা-পয়সা খরচ করেন লোক ভাড়া করে যদি মনে করেন পার্টি দাঁড়িয়ে যাবে সেটা সম্ভব নয়। ত্রিপুরাতে আমরা দেখেছি এখান থেকে টাকাপয়সা নেতা লোকজন সব নিয়ে গিয়ে ওখানে চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু কোন লাভ হয়নি। গোয়াতে তৃণমূলেরই সহযোগী পার্টি চার-পাঁচটা সিটি এগিয়ে আছে কিন্তু তারা এগিয়ে নেই। যদি বাই চান্স ছিটকে গিয়ে ওদের হাতে পড়ে খুশি হবে উনারা আমরা লাড্ডু খাবো উনারা এই সুযোগে লজেন্স খেতে পারেন।
পাশাপাশি তিনি জয়প্রকাশ মজুমদার এর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন,এটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার যে আমাদের পাটিতে এসেছে তার যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে আমরা সম্মান দিয়েছি,জায়গা দিয়েছি,পদ দিয়েছি। অনি ডিসিশন নিয়েছেন কোথায় যাবেন। দল যেভাবে উনাকে সম্মান দিয়ে রেখেছিল উনি এটা ঠিক করেননি।
অন্যদিকে খড়্গপুরে বিজেপি বিধায়ক হিরণময় চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান পদের জন্য তৃণমূলে যোগদান দেবেন,এই শুনে খড়গপুর শহর জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, রটনা অনেক কিছু ঘটে। যার সম্পর্কে রচনা হয় তাকেই প্রশ্নটা করা উচিত ছিল।