সুদীপ ব্যানার্জী, জলপাইগুড়ি: করোনা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে কারুশিল্পীদের মধ্যে। 'করিডর অফ নর্থ ইস্ট', এই তকমায় পরিচিত শহর শিলিগুড়ি। এই শহর ছাড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরেই পাহাড়ে সবুজ গালিচায় মোড়া ডুয়ার্স। ডুয়ার্স মানেই টি, টিম্বার এন্ড ট্যুরিজম। এককথায় বলতে গেলে "টি জোন অফ নর্থবেঙ্গল"।তবে বিগত কয়েক বছর ধরে উত্তরের অর্থনীতির এই তিন স্তম্ভ সংকটের মুখে। বেশকিছু চা বাগানে তালা পড়েছে, শ্রমিকরা কর্মহীন। বিক্ষোভ,আন্দোলনে জেরবার বাগান। গাছ কাটা নিষিদ্ধ। পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে আয় নেই। বিধি-নিষেধের কড়াকড়িতে প্রায় পর্যটকশূন্য ডুয়ার্স। ফলে পর্যটকের অভাবে ডুয়ার্সের বিভিন্ন কারুশিল্পীরা হাতে গড়া কাঠের সামগ্রী নিয়ে আর্থিক মন্দার মুখে। এমনই একজন কারুশিল্পী জলপাইগুড়ি জেলার মাটিয়ালি গ্রামের বাসিন্দা আনসার আলী। বয়স ৬৪ ছুঁই ছুঁই।
মূলত কাঠের গুড়ি দিয়ে বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিস বানিয়ে থাকে এই শিল্পীরা। কার্যত লকডাউনে বিধি নিষেধের বেড়াজালে আটকে রয়েছে তাদের ব্যবসা। পর্যটকের অভাব। পাশাপাশি সরকারি ছাড়পত্রে নাম নেই মেলার।স্বাভাবিক জীবিকা নির্বাহ করতে প্রান ওষ্ঠাগত কারুশিল্পীদের। কারুশিল্পী আনসার আলী বরাবর ভেবে এসেছেন, হস্তশিল্পে একদিন তার নাম ডাক হবে। সুপরিচিত হতে পারবেন শিল্পকার্যের মধ্য দিয়ে। বহুদিন এই ব্যবসাকে নিতে একাই সামলে এসেছেন।গড়ে তুলেছেন নানান মূর্তি।লাভের মুখ দেখেছেন এককালে।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সব বদলে দিয়েছে।কিন্তু তাও আনসার আলী হার মানতে নারাজ। হাতুড়ি আর বাটালি নিয়ে ক্রমাগত কারুশিল্পী নতুন নতুন নিদর্শন তৈরি করে চলেছে, এই আশায় যে একদিন হয়ত আবার সব ঠিক হয়ে নতুন ভোরের আলো ফুটবে।