নিজস্ব সংবাদদাতাঃ "বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগেছিল মেয়ের শশুর বাড়িতে,অশান্তির মূল কারণ জামাইয়ের বোনের স্বামীর কু নজর ছিল আমার মেয়ের উপর।এই নিয়ে একাধিক বার মিটিং থেকে শুরু করে প্রশাসনেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল কিন্তু কিছু হয়নি। আজ দুপুর নাগাদ আমরা খবর পাই আমাদের মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।" হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। জানাযায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার চাউলি গ্রামের এক গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা গুছাইত(২০) আজ বিকেল নাগাদ অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুঁড়া থানার আমারাগোহাল গ্রামে।যদিও এই ঘটনায় প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ অল্প বয়সে তারা প্রিয়াঙ্কার বিয়ে দিয়েছিল বর্তমানে প্রিয়াঙ্কার ৩ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে।কিন্তু প্রিয়াঙ্কার বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মাঝেমধ্যেই প্রিয়াঙ্কার পরিবারে লেগে থাকত অশান্তি তার কারন প্রিয়াঙ্কার স্বামী জয়ন্তের জামাইবাবু গনেশ মণ্ডল কু প্রস্তাব দিত প্রিয়াঙ্কাকে সেই প্রস্তাব প্রিয়াঙ্কা না মেনে নেওয়ায় চলত অশান্তি।এই নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা ভেবেছিল হয়তো শেষমেষ সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে তাই সে স্বামীর ঘর করছিল।কিন্তু আজ দুপুর নাগাদ অশান্তি চরমে উঠে,প্রিয়াঙ্কা ফোন করে তার বাবা মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত ও তার মাকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছিল কিন্তু তারা জানতে পারেনি যে এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে।প্রিয়াংকার বাবা মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত ও তার মা বলেন "আমরা ফোন মারফত জানতে পারি আমাদের মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হাসপাতালে। হাসপাতালে এসে মেয়ের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি যে তার শাশুড়ি তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।" যদিও ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ পৌঁছেছে হাসপাতালে।শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে প্রিয়াঙ্কার বাবা মা।প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির পরিজনদের দাবি, তাদের মেয়ে কু প্রস্তাব মেনে না নেওয়ার জন্যই এই পরিণতি।