নিজস্ব সংবাদদাতাঃ খেলতে খেলতে কাজলের বাক্স হাত ফস্কে চলে গিয়েছিল গলায়। আট মাসের শিশুর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৫০-এ। শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ আট মাসের শিশু রীতেশ বাগদি খেলতে খেলতে গিলে ফেলেছিল গোলাকৃতি কাজলের বাক্স। এরপর থেকেই একরত্তি শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। নিউটাউনের বাসিন্দা মেঘনাথ বাগদি তাঁর কোলের শিশুকে নিয়ে প্রথমে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে যান। সেখান থেকে রীতেশকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এনআরএসে। তারপর সকাল সাড়ে ন’টার সময় শিশুকে এসএসকেএমে রেফার করা হয়। সকাল ১০টা নাগাদ এসএসকেএমের এমার্জেন্সিতে রীতেশকে নিয়ে যখন তাঁর বাবা পৌঁছান, তখন শিশু কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এসএসকেএম সূত্রের খবর, শিশুকে যখন এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই রীতেশের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৫০ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। এসএসকেএমে যখন রীতেশ পৌঁছায় তখন তাঁর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যাচ্ছিল না। ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে কাজলের বাক্স বার করা মাত্র শিশুটি শ্বাস নিতে শুরু করে। এখন পিকুতে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল। এসএসকেএমের চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, ল্যারিঙ্গোস্কোপির পরিকাঠামো এনআরএসের মতো মেডিকেল কলেজে নেই, এটা অবিশ্বাস্য। শিশুর যেখানে ৫০ শতাংশ অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছে সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসা না করে মরণাপন্ন শিশুকে রেফার করা ঠিক হয়নি।