গম চাষের পরিচর্যা এবং রোগ প্রতিরোধ

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
গম চাষের পরিচর্যা এবং রোগ প্রতিরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গম চাষে বীজ বপনের উপযক্ত সময় এবং সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।গম চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি দো-আঁশ মাটি বেশি উপযোগি। এছাড়া লোনা মাটিতেও গমের ফলন কম হয়।গম চাষে বাম্পার ফলন পেতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে চাষ করতে হবে। গমের উচ্চ ফলনশীল জাতসমূহের বপনের উপযুক্ত সময় হল কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণর তৃতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। যে সব এলাকায় ধান কাটতে ও জমি তৈরী করতে বিলম্ব হয় সে ক্ষেত্রে কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা ও গৌরব গম বীজ বপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। সারিতে বা ছিটিয়ে গমের বীজ বপন করা যায়। সারিতে বীজ বপনের জন্য জমি তৈরির পর লাঙ্গল দিয়ে সরু নালা তৈরি করে ২০ সেমি দূরত্বের সারিতে ৪-৫ সেমি গভীরে বীজ বুনতে হয়। সেচসহ চাষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ইউরিয়া সারের দুই তৃতীয়াংশ এবং সম্পূর্ণ টিএসপি, এমওপি ও জিপসাম শেষ চাষের পূর্বে প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া প্রথম সেচের সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সেচ ছাড়া চাষের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সার অর্থাৎ ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও জিপসাম শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। সারের নাম সারের পরিমান/শতকে সেচসহ সেচছাড়া সারের পরিমান/হেক্টর সেচসহ সেচছাড়া ইউরিয়া ৭২৯-৮৯১ গ্রাম ৫৬৭-৭২৯ গ্রাম ১৮০-২২০ কেজি ১৪০-১৮০ কেজি টিএসপি ৫৬৭-৭২৯ গ্রাম ৫৬৭-৭২৯ গ্রাম ১৪০-১৮০ কেজি ১৪০-১৮০ কেজি এমপি ১৬২-২০২ গ্রাম ১২১-১৬২ গ্রাম ৪০-৫০ কেজি ৩০-৪০ কেজি জিপসাম ৪৪৫-৪৮৬ গ্রাম ২৮৩-৩৬৪ গ্রাম ১১০-১২০ কেজি ৭০-৯০ কেজি গোবর/কম্পোষ্ট ২৮-৪০ কেজি ২৮-৪০ কেজি ৭-১০ টন ৭-১০ টন। সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: মাটির প্রকার ভেদে সাধারণত ২-৩টি সেচের প্রয়োজন হয়। প্রথম সেচ চারার তিন পাতার সময় (বপনের ১৭-২১ দিনপরে), দ্বিতীয় সেচ গমের শীষ বের হওয়ার সময়। (বপনের ৫৫-৬০ দিন পর) এবং তৃতীয় সেচ দানা গঠনের সময় (বপনের ৭৫-৮০ দিন পর) দিতে হবে। জমিতে আগাছা দেখা দিলে সাথে সাথে আগাছা দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে। গমের রোগবালাই যেমন, গম পাতার মরিচা রোগ, গমের পাতার দাগ, গমের গোড়া পঁচন রোগ ও গম বীজের কালো দাগ দমন এবং পোকামাকড় দমন ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে ফসলের বিভিন্ন রোগ বোলাই ও পোকামাকড় দমন সম্পর্কে উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।