দ্বিগবিজয় মাহালীঃ দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ হলো মেদিনীপুর পৌরসভায়। কোনরকম অশান্তি, হিংসা, বোমাবাজি এড়িয়েই কার্যত হিরো পুলিশ। সকাল থেকেই চেষ্টা হয়েছিল বাইক বাহিনী দিয়ে এলাকায় অশান্তি তৈরি করার। খবর পেয়ে তাও রুখে দিয়েছে পুলিশ বাহিনী। মিঞাবাজার এলাকায় একটি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। তাও রুখে দিয়েছে পুলিশ। ভোট শেষে চওড়া হাসি পুলিশকর্তাদের মুখে। তবে ঐতিহাসিক মেদিনীপুর শহরে শান্তিপূর্ণ ভোট সকলকেই খুশি করেছে। মেদিনীপুর পুরসভায় মোট ভোট পড়েছে 76.51 শতাংশ।
এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে শাসকদল দাপিয়ে বেড়ালেও কার্যত ছন্নছাড়া গেরুয়া শিবির। সকালবেলায় কিছু সংখ্যক কর্মী সমর্থক বিজেপি বুথ অফিসগুলিতে দেখা গেলেও দুপুরের পর থেকে ফাঁকা হতে শুরু করেছে। মেদিনীপুর শহরের চার্চ স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে দুপুর তিনটার সময় দেখা গেল চেয়ার-টেবিল থাকলেও নেই কোনো কর্মী সমর্থক। অন্যদিকে তখনও তৃণমূলের অফিসে লোকজন রয়েছে। সিপিএমের বুথেও ছিল তাদের কর্মীরা। ভোট শেষ হওয়ার আগেই বিজেপির বুথ ফাঁকা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলে 5 নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মৌ রায়। তিনি বলেন, “বিজেপিতে কেউ নেই। তাই ভোট শেষ হওয়ার আগেই তারা হার স্বীকার করে নিয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল এবারে কার্যত তা ফিকে হয়ে গিয়েছে। তবে কিছু ওয়ার্ডে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে নির্দল প্রার্থীরা। তৃণমূলের 'ভয়' গোঁজ এবং নির্দল প্রার্থীদের। দিন শেষে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হলো মেদিনীপুরে।”