নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুরগির বাচ্চা জন্মানোর পরে বাচ্চা এবং মা মুরগির উপযুক্ত পরিচর্যা প্রয়োজনীয়। গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে 'তাপ' দেবে। এতে কৃত্রিম 'ব্রুডিং'-এর প্রয়োজন হবে না। এই সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবারও আলাদা করে দিতে হবে। ফলে বাচ্চাগুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে। এরপর মুরগিকে বাচ্চার থেকে আলাদা করতে হবে। এই অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং এবং খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য জলে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে। মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায়। তা নাহলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা জল কিছুই খাবে না। আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না। প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। বাচ্চা ফুটানোর ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে 'বিসিআরডিভি' টিকা চোখে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আরডিভি টিকা মাংসে দিতে হবে। ক্রিপ ফিডিংইম পদ্ধতিতে একটি দেশী মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০-২৪ দিন সময় নেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয়। বাচ্চা লালনপালন করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয়। ডিম থেকে এই ভাবে ৯০-১১০ দিন বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে। কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ -৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। এই পালন পদ্ধতিকে 'ক্রিপ ফিডিং' বলে। ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যয় করতে হয় না । ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে । এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফোটার সংখ্যা বেশী হয় । দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায়।
বাচ্চা এবং 'মা' মুরগির পরিচর্যা
New Update