পোলট্রি ফার্মের রোগ এবং তার প্রতিরোধ

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
পোলট্রি ফার্মের রোগ এবং তার প্রতিরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পোলট্রি ফার্মের মুরগিদের রোগ থেকে রক্ষা করা সব ক্ষেত্রে সম্ভব না হলেও, তা প্রতিরোধ করা তুলনামূলকভাবে সহজ। ''সালমনেলা'' রোগ প্রতিরোধে মুরগির খাদ্যের উপাদান ভালভাবে সংরক্ষন করতে হবে তা নাহলে ইদুর বা অন্যান্য পোকামাকড় দ্বারা রোগ খাদ্যে সংক্রমণ হতে পারে। ফিড মিলের যন্তপাতিগুলো ভালভাবে পরিস্কার না করলে 'সালমোনেলা' আসতে পারে। ৮২ সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় খাদ্যকে 'পিলেটিং' করতে পারলে সালমোনেলার প্রভাব কিছুটা কমে। খাদ্যে এসিডিফায়ার সালমোনিল ড্রাই ৩০০-৪০০ গ্রাম, ১০০ কেজি পরিমাণের খাদ্যে মেশালে ভাল হয়। খাদ্যে প্রবায়োটিক প্রটেক্সিন ১০০ গ্রাম, ১ টন পরিমাণের খাদ্যে মেশালে ভাল ফল পাওয়া যায়। ইদুরের পরেই পায়রার স্থান। তাই এসব প্রাণী যাতে আশেপাশে না আসে বা থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ডার,বাচ্চা,বয়স্ক মুরগি এবং ডিম এক সাথে বিক্রি করা যাবেনা। কেউ যাতে সালমোনেলা জীবানু নিয়ে ফার্মে না ঢোকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নতমানের ব্রীডার এবং হ্যাচারির বায়োসিকিউরিটি করতে হবে যাতে ফার্মটি সা্লমোনেলা মুক্ত থাকে। টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধে ভাল কোম্পানির এবং হ্যাচারীর বাচ্চা নিতে 'বায়োসিকিউরিটি' মেনে চলতে হবে জলে প্রবায়োটিক, ক্লোরিন এবং এসিডিফায়ার ব্যবহার করতে হবে। রীতিমত স্প্রে করতে হবে। খাদ্যে মিটবোনের ব্যবহার কমিয়ে উদ্ভিজাত প্রোটিন ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত টিকা দিতে হবে। পক্স থেকে মশাকে বাঁচাতে হলে, মশা,আঠালি এবং ফ্লি দূর করতে হবে। টিকা দিতে হবে ৪-৬ সপ্তাহে ১ বার এবং যদি বার বার পক্স হয় তাহলে ১৪ সপ্তহে ২য় বার হবে। টিকা দেয়ার জায়গায় ১টি পকলেশন হয় যা থেকে বোঝা যায় টিকা কাজ করছে। ১০-১৪ দিন পরে এর প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়। একবার আক্রান্ত হলে আজীবন ইমোনিটি থাকে। বায়োসিকিউরিটি মেনে চলতে হবে। তবে টিকার কার্যকারিতা ৭০-৮০ শতাংশ। এই টিকা ক্রস প্রটেকশন দেয় মানে এই স্ট্রেইনের টিকা অন্য স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কাজ করে। অসুস্থ মুরগিকে 'কালিং' করে দিতে হবে এবং মৃত মুরগি মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। ভ্যাক্সিন কোনভাবেই যাতে ফ্লোরে বা লিটারে না পড়ে, ভ্যাক্সিন দেওয়ার পর 'ভায়াল' মাটির নিচে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কিছু টিকার নাম দেওয়া হল। যেমন, পিজিয়ন পক্স ভ্যাক্সিন, রিকম্বিনেট ভ্যাক্সিন রানিক্ষেত বা মেরেক্স এর সাথে, পক্স লাইভ ভ্যাক্সিন, টিস্যু কালসার ভ্যাক্সিন, এন্ডেমিক এরিয়ায় টিস্যু কালসার ভ্যাক্সিন ৫দিন,৬ সপ্তাহে আবার রিপিড করতে হবে। পিজন পক্স ভ্যাক্সিন ১দিন বয়সে ও দেয়া যায়,২য় ভ্যাক্সিন ৪ সপ্তাহে। রোগ থেকে মুরগিকে বাঁচানোর জন্য এইসব পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার করলেই তা মুরগির স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক হবে।