নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকার সঠিক ও সুষম খাবার। যেখানে আমরা কী খাচ্ছি, কীভাবে শ্বাস নিচ্ছি, কী ধরণের চিন্তা করছি সেগুলি প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সেইসবের ভিত্তিতে আমাদের মন, শরীর, আবেগ ও চিন্তার মধ্যে গভীর সংযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়াগুলি পাল্টাতে থাকে। আধ্যাত্মিক ও মহাজাগতিক দিকগুলি অনুভব করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত । সবকিছু ভারসাম্য বজায় রেখে আমাদের স্বাস্থ্যকর, শান্তিপূর্ণ ও সফল সুন্দর জীবন কীভাবে পাওয়া যায় , তা আলোচনা করা যাক
সুষম ও ব্যালান্সড ডায়েট-হাজার হাজার বছর ধরে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত যে, পরিমিতপরিশ্রম, মনমতো খাবার খাওয়া, ঋতু অনুযায়ী ফল খাওয়া ও খাওয়ার জন্য জৈবিক ও প্রাকৃতিক খাবারের উপকারীতা কতটা। প্রকৃতির মাঝে আমাদের খাদ্যভাসের অনুশাসন করা দরকার । কারণ এই ব্যস্ততার সময়ে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে মানবসমাজ। সুস্বাদু খাবার, তাজা শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, বীজ ইত্যাদিতে জড়িয়ে রয়েছে প্রত্যেক ঋতুর ছোঁয়া। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য মরসপমি খাবার ও ফলের উপর নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
সুস্থ শরীরের জন্য আসন- যোগাসনের জন্য শারীরিক অনুশীলন বা শরীরচর্চার প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন পালন করতে যোগ-ব্যায়ামের দিকেও নজর রাখা উচিত। বিশৃঙ্খল ও দুঃসময়ে মনকে শান্ত রাখতে, পেশীশক্তি বৃদ্ধিতে, শক্ত মনের অধিকারী হতে যোগাসনের কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা শরীরকে আরও নমনীয়, সক্রিয় ও শক্তিশালী গড়ে তোলে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সক্ষম এই যোগাসন।
সঠিক শ্বাস-প্রশ্বাস কৌশল- মানসিক ও শারীরিক দিকে থেকে সুস্থ হতে গেলে নজর দিতে হবে স্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমের উপর। সঠিক শ্বাস-প্রশ্বাস মস্তিষ্ক ও শরীরকে তীক্ষ্ণ করতে, মনের উপর চাপ কমাতে, দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে প্রাণায়াম করা উচিত। আধুনিক গবেষমায় জানা গিয়েছে, জীবদ্দশায় মাত্র ২০ শতাংশ আমাদের শরীরের জন্য শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা ব্যবহার করি। সচেতনভাবে শরীরকে দুর্দান্ত স্বাস্থ্যের জন্য শ্বাস পরিচালনা করা, নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলগুলি প্রতিদিন অনুশীলন করা প্রয়োজন।