নিজস্ব সংবাদদাতাঃ তোয়াক্কা করলেন না পশ্চিমী দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিকে। তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকাকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যা পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার রেষারেষি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। সেইসঙ্গে ওই মহলের আশঙ্কা, তাহলে কি ঢঙ্কা বেজে গেল যুদ্ধের? সোমবার পুতিন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যে ডোনেত্সক গণপ্রজাতন্ত্রী এবং লুহানৎসক গণপ্রজাতন্ত্রীর স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন আছে। যে সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল।' সেই ঘোষণার পরই ক্রেমলিনে বসে দোনেৎস্ক এবং লুহানৎসকের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। নিজের দীর্ঘ ভাষণে পুতিন অভিযোগ করেন, পূর্ব ইউক্রেনে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে কিয়েভকে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে বলেন পুতিন। যে কাজটা না করলে ইউক্রেনকে রক্তপাতের সম্মুখীন হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘(অভিযান বন্ধ না হলে) সম্ভাব্য রক্তপাতের যাবতীয় দায় বর্তাবে ইউক্রেনের ক্ষমতায় থাকা লোকেদের বিবেকে।’ যে দেশ ‘সম্পূর্ণভাবে রাশিয়া তৈরি করেছে’ বলেও দাবি করেন তিনি।