৭ বছর ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
৭ বছর ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি

​দিগবিজয় মাহালি,মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড-এর নয়াগঞ্জ এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা। সরকারি জায়গা না মেলায় নিজস্ব ভবনেই দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নয়াগঞ্জে একটি ধর্মীয় মঠের দেওয়া কক্ষে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রয়েছে CN174,0614 Code-এর নয়াগঞ্জ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। ভাঙাচোরা একটি কক্ষ, ছাদের চাঙ্গড় খসে পড়ে, তার ভিতরেই দরকারি কাগজপত্র ও পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিলের রান্নার সামগ্রী রাখা থেকে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলে ঝুঁকি নিয়ে। উঠানে ত্রিপল টাঁঙিয়ে চলে মিড-ডে-মিলের রান্না। রান্না করার জায়গার পাশেই রয়েছে আবর্জনা ও ঝোপঝাড়। ৬৩ জন পড়ুয়া সাথে গর্ভবতী মহিলাদের মিড-ডে-মিল বিতরণ হয় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে। না আছে শৌচাগার, না বিদ্যুৎ সংযোগ। মঠের দেওয়া এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকি নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী রুমা সাহা জানান, 'বছর সাতেক আগে এলাকার একটি শিব মন্দিরে চলতো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। কিন্তু গ্রামবাসীদের তরফে সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। তারপর জায়গার অভাবে একমাস বন্ধ ছিল অঙ্গনওয়াড়ি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এই জায়গায় ঝোপঝাড় সরিয়ে ৭ বছর ধরে মঠের এই রুমে কোনক্রমে চলে আসছে এই সেন্টারটি'। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে এবিষয়ে। কিন্তু জায়গার অভাবে ভবন তৈরির টাকা এসেও ঘুরে গেছে জানা যাচ্ছে। দ্রুত সরকারি ভাবে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য স্থায়ী জায়গা দেখে সেখানে ভবন তৈরি করে ভালোভাবে সেন্টারটি চালানোর ব্যবস্থা করা হোক, এমনটাই চাইছেন অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী। ১৬ ই ফেব্রুয়ারী থেকে শিক্ষা দপ্তরের ঘোষণা মতো শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের পঠনপাঠন। একই সাথে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও খোলার ঘোষণা করা হয়েছিল। সেমতো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলার তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছিল। জানাযায় দিন পরিবর্তন হয়ে ১ লা মার্চ থেকে খুলবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি। তার আগে চন্দ্রকোনার নয়াগঞ্জের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের স্থায়ী সমাধান হোক, চাইছেন সকলেই।