নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএমের জেলা সম্পাদক হয়ে সুশান্ত ঘোষ বলেন "আমি গ্রামের ছেলে। দলে হয়ত আমি পছন্দের নয়।" বৃহস্পতিবার ডেবরার জেলা সম্মেলন থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে তিনি ছ'বারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ডে নাম জড়ায় সুশান্ত ঘোষের। দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের জেলায় ফেরার অনুমতি পেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শালবনী বিধানসভা কেন্দ্রে। পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাত-র কাছে। তবে তাঁকে ঘিরে বিতর্কও রয়েছে। শালবনিতে ভোট প্রচারে গিয়ে তিনি হুমকি দেন, কারও গায়ে হাত পড়লে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে হাত-পা ভেঙে দেবেন। চিকিৎসাও করাবেন তিনি। দলের মধ্যেও বাড়ছিল তাঁর দূরত্ব। তাহলে সুশান্ত ঘোষ পার্টির কাছে কি ব্রাত্য? তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, "হয়ত আমি পছন্দের নয়। আমি গ্রামের ছেলে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর লাঙল ধরেছি। দল করেছি। দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা হয়েছে।" তবে তিনি অন্য দলে যে নাম লিখাবেন না তা পরিষ্কার করে তিনি বলেন, " যাকে আদর্শগত অপছন্দ করি কিছু পাওয়ার জন্য সেখানে যাব, এই বিচ্যুতি যেন আমার না আসে।" দলের অবনতি নিয়েও তিনি শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁর কথা কেউ শোনেনি। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “ আগেও আমার কথা কেউ শোনেনি। সংসারের হাল ধরার ক্ষেত্রে যদি যোগ্য গৃহকর্তা হয়, তাহলে সুখ-দুঃখের মধ্যে এগিয়ে যায়। সর্বনাশ হতে যাচ্ছে, আমি এমন ব্যাখ্যা করে বলেছিলাম দলের এক শীর্ষ নেতাকে। তা ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পরেই টের পাওয়া গিয়েছিল।" দলের মধ্যে নানা অভিমানের পর এবার সেই সুশান্ত ঘোষ হলেন জেলা সম্পাদক। তিনি বলেন, " সারা পৃথিবীতে যত আদর্শ আছে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বামপন্থা। এর কোনও বিকল্প নেই। তবে তার জন্য দরকার যোগ্য নেতৃত্বের।"