দ্বিগবিজয় মাহালী-বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা নির্বাচনের। তারমধ্যে সরস্বতী পুজো। সরস্বতী পুজো মানেই মেদিনীপুর শহরের কলেজ স্কোয়ারের জমজমাট ব্যঙ্গচিত্র।প্যান্ডেল বা প্রতিমা নয়, ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুনে কে কতটা শান দিতে পারে তার লড়াই চলে মণ্ডপে মণ্ডপে। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের নিশানায় রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা। কোথাও নাম না-করে কোথাও আবার নেতানেত্রীদের কাট আউটে ব্যঙ্গচিত্র এঁকে আক্রমণ করা হয়। সরস্বতী পুজোয় মেদিনীপুর শহরের এটাই ট্র্যাডিশন বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। করোনা পরিস্থিতিতে এবারেও ট্রাডিশনে ভাটা পড়েনি। শহরের গোলকুঁয়াচক থেকে কলেজের দিকে এগোতেই চোখে পড়ে বিভিন্ন ক্লাবের ব্যঙ্গচিত্র। এবারে 'খেলা হবে' বলে নতুন ক্লাব গড়ে উঠেছে। শুক্রবার ওই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করেন বিধায়ক জুন মালিয়া। তারপর রয়েছে 'গরিমা'। এর আগে 'গরিমা' তৃণমূল প্রভাবিত বলে পরিচিত ছিল। ওই ক্লাবের উদ্যোক্তা রমাপ্রসাদ গিরি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় গতবছর থেকে বিজেপি প্রভাবিত হয়ে যায়। তাতে আক্রমণের নিশানা করা হয়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের।উল্লেখ্য আগে রাজ্য নেতা-মন্ত্রীদের কটাক্ষ করা হত।
এবারে বাদ যায় নি জেলার বিধায়ক থেকে মন্ত্রীরা।তাদের মুখমন্ডলের ছবি দিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে 'ভাগ-বাটোয়ারা'।তাতে ছবি রয়েছে, মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, হুমায়ন কবির, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাত, বিধায়ক দীনেন রায়, জুন মালিয়া, উত্তরা সিংহ হাজরার। ছবি রয়েছে পিকের। এই ব্যঙ্গচিত্রের ব্যানার খুলতে বাধ্য হলেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তা তথা বিজেপির জেলা নেতা রমাপ্রসাদ গিরি মানছেন ব্যানার খোলার কথা। তিনি বলেন, নির্বাচন বিধিভঙ্গ হবে বলে এসডিও জানিয়েছেন। কোন বিতর্কে না গিয়ে আমরা ছবির পরিবর্তন করেছি। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন ক্লাব শাসক দলের নেতাদের ছবি দিয়ে স্বাগতম জানিয়ে ব্যানার টাঙ্গিয়ে রেখেছে, অথচ তা খোলার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।' এর আগে রাজ্য নেতাদের ব্যঙ্গ চিত্র ফুটে উঠত। এবারে জেলা নেতা নেত্রীদের। রমা ব্যঙ্গ করে বলেন, জেলা নেতারাও কোন অংশে কম নয়। তাই তাদেরও জনপ্রিয় করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধায়ক জুন মালিয়া। তিনি বলেন, এসব ব্যঙ্গ চিত্র নিয়ে মন্তব্য করব না। যাঁদের যেমন রুচি তা করবে। সবমিলিয়ে কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্রে জমজমাট মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার।