হাবিবুর রহমান, ঢাকা: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের অন্তত তিনটি উপধরন পাওয়া গেছে বলে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স গবেষণায় জানা গেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১৮০ শতাংশ। একইসঙ্গে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে ৮৮ শতাংশ। সোমবার বাংলাদেশে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৮২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
ঢাকা শহরে যে তিনটি উপধরন আছে সেগুলো আফ্রিকান, ইউরো-আমেরিকান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিলে যায়। জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে ল্যাবরেটরিতে ১ হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত। আর ওমিক্রনে আক্রান্ত ৬৯ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ক্রমেই ডেল্টার জায়গা দখল করছে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, তার মধ্যে শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছে। ৭ শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছে। গলা ব্যথা হচ্ছে ৭ শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে।
বাংলাদেশে এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩২ শতাংশের ওপরে উঠেছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৮২৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের তিনটি উপধরনে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ঢাকার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে সিট নেই। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা।