দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : মিড-ডে-মিলের চাল স্কুলে সরবরাহ না করতে পেরে ক্ষমাপ্রার্থী খড়গপুর পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরে প্রায় দুই শতাধিক মাধ্যমিক ও প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, প্রতিটি স্কুলে ৩ থেকে ৬ জনুয়ারি মিড ডে মিল বিতরণ করার জন্য। কিন্তু সেই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হল না খড়্গপুরের ক্ষেত্রে। সময়সীমার প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেলেও এখনও মিড ডে মিলের কোনও হদিশ নেই স্কুল গুলোতে। প্রতিমাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিড-ডে-মিল বিতরণ হয় স্কুলে। কিন্তু চলতি মাসের মিড ডে মিলের থেকে বঞ্চিত পড়ুয়ারা। কবে স্কুলে মিড ডে মিল পৌঁছাবে তা এখোনও জানানো হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষদের।
অভিভাবক রিতা প্রতিহার বলেন, "আমার মেয়ে ডেভলপমেন্ট সাউথ সাইড স্কুলে পড়ে। ক্লাস ফাইভের ছাত্রী। এখনও মিড-ডে-মিল পাইনি। ওনাদের জিজ্ঞাসা করলে বলেছেন, যখন আসবে তখন দেওয়া হবে।"
সাউথ সাইড স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাপদ বসু বলেন, "প্রতি মাসের মতো এ মাসেও মিউনিসিপ্যালিটি থেকে ঘোষণা করেছে ৩,৪,৫ এবং ৬ জানুয়ারিতে মিড ডে মিল দেওয়া হবে। আমি অর্ডার টি দেখার পরে মিউনিসিপ্যালিটির সাথে যোগাযোগ করি। ওনারা বলেন এখনও মেটারিয়াল এসে পৌঁছায়নি। যখন আসবে তখন আপনাদের দিয়ে দেওয়া হবে। যতক্ষণ না আমাদের হাতে মেটারিয়াল এসে পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ আমরা ডিস্ট্রিবিউট করতে পারি না। মেটারিয়াল সরকারের পক্ষ থেকে আসে। এবং মিউনিসিপ্যালিটি নির্দিষ্ট ডেটগুলি করে দেয়। সেই ডেটেই আমরা বিতরণ করি। জেলার বিভিন্ন জায়গায় মিড-ডে-মিল দেওয়া হয়ে গেছে। এখানে কেন দেওয়া হল না তা আমি বলতে পারব না।"
খড়্গপুরের পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার বলেন, "জেলাতে কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে আসতে দেরি হচ্ছে। আজকালের মধ্যে চাল এসে যাবে। আমরা দু একদিনের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছে দেব। কিছু সমস্যা হওয়ার জন্য আসতে দুই দিন দেরি হচ্ছে। সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।"