দিগবিজয় মাহালি,মেদিনীপুরঃ ৯২ বছর বয়সে সোমবার সকালে খড়্গপুরে নিজ বাসভবনে প্রয়াত হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামী অধ্যাপক গোষ্ঠবিহারি সেন। খবর জানাজানি হতেই শোক নেমে আসে বিভিন্ন মহলে। তিনি ছিলেন শহিদ প্রশস্তি সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। এদিন দুপুরে মেদিনীপুর শহরের নিমতলাচকে অবস্থিত শহীদ প্রশস্তি সমিতির অফিসে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মুর্তির সামনে মরদেহে মাল্যদান করেন সমিতির বর্তমান সম্পাদক ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি, ক্ষুদিরাম বসু জন্মশতবার্ষিকীর সম্পাদক অমল মাইতি, অধ্যাপক সংহতি মঞ্চের অধ্যাপক মঙ্গল নায়ক, বিমল দাশগুপ্ত স্মৃতিরক্ষা সমিতির পক্ষে অধ্যাপক দেবাশিষ আইচ। এছাড়াও বিধায়ক দিনেন রায়ের পক্ষ থেকেও মাল্যদান করে শ্রদ্ধ জানানো হয়। নাগরিকরাও শ্রদ্ধা জানান। পদ্মাবতী শশ্মান ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
জেলার সবং থানার বোলডিহা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কর্মজীবনে প্রথমে মদনমোহন হাইস্কুলে ইংরেজি ভাষার শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে নাড়াজোল রাজ কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৯২ সালে ওই কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পরে নাড়াজোল, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ও খড়্গপুর কলেজে ইংরেজি ভাষার অতিথি অধ্যাপক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী অধ্যাপক সেন দীর্ঘদিন ধরে মেদিনীপুর শহীদ প্রশস্তি সমিতির সভাপতি ছিলেন। আন্দামান ফেরত স্বাধীনতা সংগ্রামী সনাতন রায়ের মৃত্যুর পর তিনিই এই সমিতির দ্বায়িত্ব ভার নিয়েছিলেন। দক্ষতার সঙ্গে তিনি সমিতির কাজ পরিচালনা করেছিলেন। যতদিন সক্ষম ছিলেন ততদিন জেলার শহীদদের স্মরণে, শ্রদ্ধা নিবেদনে তাঁর ভূমিকা অনুপ্রেরণা দায়ক ছিল। প্রতি বছর ১৫ ই আগস্ট শহরে শহীদদের স্মরণে প্রতিটি মূর্তিতে মাল্যদানের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতেন। জেলাতে শহীদের স্মৃতি রক্ষায় তাঁর ভূমিকা অম্লান হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে শহীদ প্রশস্তি সমিতি গভীর শোক প্রকাশ করছে।