তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয় থেকে রেশন সামগ্রী বন্টনে বিতর্ক

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয় থেকে রেশন সামগ্রী বন্টনে বিতর্ক


দিগবিজয় মাহালি,মেদিনীপুরঃ দুয়ারে রেশন প্রকল্পে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্য্যালয় থেকে রেশন সামগ্রী বন্টনের অভিযোগ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। এইনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক, শুরু রাজনৈতিক তরজাও। এমনই বিতর্কিত ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নেকড়বাগ গ্রামে। গত ১৩ ই জানুয়ারি নেকড়বাগ গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্য্যালয় থেকে গ্রাহকদের রেশন বন্টনের ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় রীতিমতো তৃণমূলের দলীয় কার্য্যালয়ের ভিতরে রেশন সামগ্রী বন্টন করা হচ্ছে এবং রেশন সামগ্রী নিতে কার্য্যালয়ের বাইরে লম্বা লাইন। আর এই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক, যাকে নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। জানাযায়, ১৩ ই জানুয়ারি চন্দ্রকোনার তাতালপুর গ্রামের রেশন ডিলার দেবাংশু ঘোষাল দুয়ারে রেশন প্রকল্পে রেশন বন্টনের জন্য নেকড়বাগ গ্রামে যান এবং সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্য্যালয় থেকে ওই গ্রামের গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী বন্টন করেন। যদিও রেশন ডিলার দেবাংশু ঘোষালের দাবি, খারাপ আবহাওয়া এবং ওই গ্রামে কোনও সেড না মেলায় স্থানীয়দের কথায় ওই দলীয় কার্য্যালয়ে রেশন সামগ্রী বিলি করা হয়। কিন্তু এনিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় গ্রামেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাকি গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী বন্টন করা হয়। এই বিষয়ে ওই গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য নাসিরুদ্দিন মল্লিক জানান, "তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে মাল দিতে হবে বা নিয়ে যেতে হবে এরকম কাউকেই বলে দেওয়া হয়নি। ওইদিন ডিলার গাড়ি করে মাল নিয়ে এসে রাস্তার ধারে রেশন সামগ্রী দিচ্ছিল, হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি কাছে পার্টি অফিসে মালগুলো রাখা হয়। এটাকে নিয়ে কিছু অসাধু লোক ভিডিও করে, যা নিয়ে বিতর্ক হয়। আমরা ডিলারকে বলে দিয়েছি এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক চাইনি আপনি অন্যত্র জায়গা দেখে মাল দিন। সে গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে রেশন সামগ্রী বন্টন করছে। এনিয়ে গ্রামের মানুষের কারও কোনও অভিযোগ নেই।" আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। ঘটনার নিন্দা করে বিজেপির রামজীবনপুর মন্ডলের সভাপতি নন্দ নিয়োগী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে সরকার ও তৃণমূল দল দুটোই এক হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষমতার দম্ভে শাসকদল তৃণমূল মানুষকে তাদের পার্টি অফিসে যেতে বাধ্য করছে"।