New Update
আদৃতা ভট্টাচার্য: ভারতে কোভিডের টিকাকরণ বহু আগে শুরু হলেও তা কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। “কোভ্যাক্সিন” এবং “কোভিশীল্ড” -এই দুইটি ভ্যাকসিন ভারতে দেওয়া হচ্ছে, যা (WHO)- “হু” এর অনুমোদন প্রাপ্ত।
চলতি বছরের ৩রা জানুয়ারি থেকে ভারতেও শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ। সরকারি ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে প্রথমদিনেই মোট ১৬ লক্ষ কিশোর-কিশোরী টিকা নিয়েছে। তাদের টিকার জন্য “কোভ্যাক্সিন”-কেই প্রযোজ্য বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন স্কুল, হাসপাতাল এবং টিকাকরণ কেন্দ্রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর হিসেবে জানা গিয়েছে। দেশের একটি বৃহৎ সংখ্যক স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের পরিচয়পত্রের মাধ্যমেই এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুসারে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট ৪০,৮০,২৬৩ জন গত ২৪ ঘন্টায় টিকা নিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতে এখনও পর্যন্ত ১৫-১৮ বছর বয়সী ১ কোটিরও অধিক জনকে কোভ্যাক্সিন টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
দেশে শীর্ষ পাঁচটি রাজ্যে কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। যেমন,
• রাজস্থান:- (১১,৮২,১৫৮)
• মধ্যপ্রদেশ:- ( ১৬,৫২,৩০৯)
• কর্ণাটক:- (১১, ২১,৫৬৯)
• অন্ধপ্রদেশ:- (১৩, ০২,০২৭)
• গুজরাট:- (১৩, ৬৩,১৪৭)
কলকাতাতেও টিকাকরণ চলছে সমানভাবে। বিভিন্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য সহায়তা করে চলেছেন এই কাজে। অধিকাংশ স্কুলে টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, মিড-ডে মিল বিলি প্রভৃতি, যাতে শিক্ষার্থীরা টিকাকরণে উৎসাহী হয়। এর সাথে কয়েকটি স্কুলে চলছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্মপূরণ প্রক্রিয়াও। সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে যে, দিনে সর্বাধিক ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে স্কুলগুলিতে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডভিয়া তার টুইটে টিকাদানের জন্য কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে উৎসাহের প্রশংসা করেন এবং তাদের এই কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানান। কিন্তু, সমাজের এক বৃহৎ অংশের কিশোর-কিশোরী, যারা স্কুল পরিচয়হীন, নাগরিক পরিচয়হীন ফুটপাতবাসী, তাদের মধ্যে টিকাকরণ কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা তারা বা তাদের মা-বাবা'রা কেউই ‘কোউইন' আ্যপে নাম নথিভুক্ত করার জন্য সক্ষম নয়।
দেশে স্কুল খোলার পর অনেক জায়গায় কোভিড সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নতুন করে ছাড়পত্র পেয়েছে “করবিভ্যাক্স” ও “কোভোভ্যাক্স” নামে দুটি ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনটি “সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া” দ্বারা তৈরি। আগামী দিনে এই ভ্যাকসিনগুলিই বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আশা করা যায় যে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকাকরণ খুব শীঘ্রই এই মহামারীর হাত থেকে আংশিক রেহাই দেবে।
quarantine
covid 19
health
omicron
pandemic
lockdown
india
corona
vaccination
vaccine
corona updat
teenager