নিজস্ব সংবাদদাতা: অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশের স্বনির্ভরতার প্রশ্নেও স্বামীজি খাওয়াদাওয়া নিয়ে ভাবতেন। তাঁর ভাবনা ছিল এরকম, ‘মুগের ডাল অড়র ডাল প্রভৃতিতে ইংলণ্ড ও আমেরিকায় একটা খুব ভাল ব্যবসা চলিতে পারে।…যদি ছোট ছোট প্যাকেট করে তার গায় রাঁধবার ডিরেকশন দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে পাঠানো যায়…তো খুব চলতে পারে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য পাঁউরুটি নিয়ে তার বেশ কৌতুহল ছিল এবং সেই সূত্রে আগ্রহী ছিলেন বেলুড় মঠের নিজস্ব একটি বেকারি খুলতে।
কোন রকম বাছবিচার না করে তাঁর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে একবার কলকাতার হিন্দু সমাজে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তার উত্তরে প্যারিস থেকে আলাসিঙ্গা পেরুমলকে চিঠি লিখেছিলেন, ‘যদি কোলকাতার লোকেরা চায় যে আমি হিন্দু খাদ্য ছাড়া আর কিছু না খাই। তবে তাদের বলো তারা যেন আমায় একজন রাঁধুনী ও তাকে রাখবার জন্য উপযুক্ত খরচ পাঠিয়ে দেয়।’