দিগবিজয় মাহালি,মেদিনীপুরঃ ১১ টি সারমেয় ছানার পুরো দায়িত্ব নিল পুলিশ কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে সারমেয়দের উপর একাধিক আক্রমণের ছবি। আর সেই সারমেয়রা সমাজের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানতে হলে আপনাকে আসতে হবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়িতে। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ৪ নং রাজ্যসড়কের ধারে ছোট্ট বাউন্ডারিতে ঘেরা ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়ি। প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে শতাধিক মানুষ,ভেতরে প্রবেশ করে প্রচুর মোটরবাইক থেকে শুরু করে চার চাকার গাড়ি,তাই সারমেয়দের শারীরিক গুরুত্বের কথা ভেবেই পুলিশ ফাঁড়ির গেটে বড় বড় করে পোস্টারে লেখা,সকলের কাছে বিনীত আবেদন বাচ্চা কুকুরছানা আছে, সকলে একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন যাতে ওদের ক্ষতি না হয়। একদিন, দুদিন নয় প্রায় দুই তিন মাস ধরে ছোট্ট ১১ টি সারমেয়র ছানাদের সন্তান স্নেহে লালন-পালন করছেন পুলিশ আধিকারিক থেকে ফাঁড়ির সমস্ত পুলিশকর্মীরা। জানাযায়,৩ মাস আগে দুটি সারমেয়র ১১ টি বাচ্চা জন্ম গ্রহন করে ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়ির একটি পরিত্যক্ত জায়গায়। কিন্তু বাচ্চাদের ঠিক মতো রক্ষনারেক্ষণের অভাব দেখা দেয়। পুরো বিষয়টি নজরে আসে ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার প্রশান্ত কীর্তনিয়ার। প্রথমে তারা এই সারমেয়র বাচ্চাদের সরিয়ে নিয়ে এসে ফাঁড়ির সম্মুখে থাকার একটি জায়গা করেন। তার পর থেকে যত্ন সহকারে তাদের লালন পালন শুরু হয়। বর্তমানে তাদের খাওয়ানো হয় হরলিক্স, বিস্কুট, থেকে দামী খাবার। যদিও অনেক পুলিশ কর্মীদেরই দাবি যে গভীর রাতে ডিউটি করার সময় তাদের সাথে কেউ থাকুক না থাকুক এই পথ কুকুররা থাকে। আর পুলিশ ফাঁড়িতে আসা মানুষ জন ডিউটির ফাঁকে পুলিশের এই কুকুর ছানা পালন দেখে কিছুটা হলেও হতবাক। উর্দিধারীদের এহেন কাজের প্রশংসায় ক্ষীরপাইবাসী।