নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চলতি বছর সাক্ষী থাকল অনেকগুলো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের।
স্পেনের তুষার ঝড় ফিলোমেনা। বছরের গোড়াতেই অবস্থা খারাপ ছিল স্পেনের। গত ৫০ বছরে এমন তুষার ঝড় হয়নি স্পেনে। ক্ষতির পরিমাণও ছিল বিরাট।
এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সেরোজার দাপটে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। অস্ট্রেলিয়াতেও ক্ষয়ক্ষতি কম হয়নি।
মে মাসে ইয়াস আর তওতে, সেপ্টেম্বরে গুলাব, ডিসেম্বরে জাওয়াদ। এই ঘূর্ণিঝড়গুলোর বয়ে গিয়েছে ভারতের বিভিন্ন উপকূলে। ক্ষতির পরিমাণও বিরাট।
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস দ্বীপে লা সউফিয়ের আগ্নেয়গিরির প্রবল অগ্ন্যুৎপাত বিরাট ক্ষতি হয় বহু মানুষের। অনেকে প্রাণ হারান। বহু মানুষ বাড়িছাড়া হয়ে পড়েন। ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অগ্ন্যুৎপাত চলেছে
জুনে কানাডার কোনও কোনও জায়গার তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৬ ডিগ্রির ওপরে। ৫০০-র বেশি মানুষ মারা যান তাপপ্রবাহের ফলে।
জুলাই মাসে মারাত্মক বন্যা হল জার্মানিতে। ৬০ বছরে এমন বন্যা দেখা যায়নি। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই বিপর্যয়ে।
সাইবেরিয়ার ভয়াবহ দাবানল। এমন মারাত্মক দাবানল খুব কমই ঘটে। উত্তর মেরু পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল ধোঁয়া।
অগস্টে ঘূর্ণিঝড় ইদার কারণে আমেরিকায় প্রচুর মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। মৃত্যুও হয় অনেকের।
অগস্টে হাইতি কাঁপল ভূমিকম্পে। প্রায় ২০০০ মানুষের মৃত্যু হল এই ঘটনায়। লাখের ওপর বাড়ি গুঁড়িয়ে গিয়েছিল এতে।
ডিসেম্বর ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় রাই। শতাধিক মানুষের মৃত্যু আর হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন এর ফলে।