হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের সীমান্ত শহর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সৈয়দা লারিসা রোজেনসহ ৭৯ জন সাঁতারু।
লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তাঁর বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ানও। বাবা ও দুই সন্তানের একসঙ্গে অংশ নেওয়াটাও বাংলা চ্যানেলে একটা রেকর্ড বলছেন সংশ্লিষ্টরা। একই পরিবার থেকে এক সঙ্গে তিনজন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া হয়নি কখনো। এবারেই প্রথম পিতা, ছেলে ও মেয়ে একসাথে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস গড়ে।
সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়ার সমুদ্র সৈকত থেকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৭৯ জন সাঁতারু। এবারের ৭৯ জন সাঁতারুদের মধ্য একজন বিদেশিও ছিলেন। এর আগে তাঁরা সবাই হাতে বাংলাদেশের পতাকা দেখিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উল্লাস করেন। ১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।
উল্লেখ্য, অ্যাডভেঞ্চার গুরু খ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।