নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সোনিয়া গান্ধী সংসদে দাঁড়িয়ে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে বাহবা কুড়োচ্ছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বলছেন, ‘লড়কি হু, লড় সকতি হু।’ উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার মতো রাজ্যে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভোটে মহিলাদের জন্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সংরক্ষণের। ঠিক তখনই কর্ণাটকের এক কংগ্রেস বিধায়ক বলে দিলেন, ‘ধর্ষণ যখন হবেই, তখন উপভোগ করাই ভাল।’ বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বিধানসভায় কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। তাঁর বক্তব্য,” ধর্ষণ যখন অনিবার্য, তখন শুয়ে পড়ে সেটা উপভোগ করাই ভাল।” গতকাল কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার সময় কর্ণাটক বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। সে সময় ক্ষুব্ধ স্পিকার বিশ্বেশরা হেগড়ে বলেন, আমি বিধানসভা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। সবাইকে সময় দিতে গেলে হাউস চলবে না। এখন আপনারা যা বলবেন, তাতেই আমাকে হ্যাঁ বলতে হবে। এই পরিস্থিতি উপভোগ করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। তখনই স্পিকার বিশ্বেশরা হেগড়ের তালে তাল মিলিয়ে তাঁরই পূর্বসূরি রমেশ কুমার বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। স্পিকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলে দেন, ধর্ষণ যখন থামাতে পারছেন না, তখন উপভোগ করুন। আশ্চর্যজনকভাবে কেউ তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেননি। খোদ স্পিকারও নন। উলটে বিধানসভার অধিকাংশ সদস্য তাঁর কথায় হেসে উঠেছেন। ব্যাপারখানা যেন খুব স্বাভাবিক।