নতুন জার্মান চ্যান্সেলর সম্পর্কে নানান চমকপ্রদক তথ্য

author-image
Harmeet
New Update
নতুন জার্মান চ্যান্সেলর সম্পর্কে নানান চমকপ্রদক তথ্য

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জার্মান নির্বাচনে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল থেকে চ্যান্সেলর হয়েছেন ওলাফ শলৎস। বুধবার জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। তার জীবন বর্ণাঢ্য ও নানান চমকপ্রদক তথ্যে পরিপূর্ণ।

১৭ বছর বয়সেই রাজনীতি শুরু করেন

১৯৫৮ সালের ১৪ জুন পশ্চিম জার্মানির অসনাব্রুকে জন্ম নেন ওলাফ শলৎস। ১৯৭৫ সালে হাইস্কুলে পড়ার সময় এসপিডিতে যোগ দেন তিনি।

রক্ষণশীল অংশের সদস্য

এসপিডির রক্ষণশীল অংশের সদস্য বিবেচনা করা হয় তাকে। আবার এটাও ঠিক, তিনি বাম নাকি ডানপন্থী, তা বোঝাও কঠিন। এসপিডির যুবদলের ডেপুটি লিডার হিসেবে তার অনেক বক্তব্য ক্যাপিটালিজমের কট্টর সমালোচনা বলে বিবেচিত হয়েছিল।

আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ

১৯৯৮ সালে প্রথমবার জার্মান সাংসদ নির্বাচিত হন শলৎস। হামবুর্গে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ব্যবসায়িক আইন বিষয়ে তার পারদর্শিতা ছিল। ওই কারণে অর্থনীতি ও ব্যবসা কিভাবে চলে তার সম্পর্কে তার ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতাই সরকারি কাজে লাগিয়েছেন শলৎস।

সঙ্কট মোকাবিলায় সক্ষম ওলাফ শলৎস

ইতোমধ্যে কঠিন সঙ্কট মোকাবিলায় দক্ষ এক রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন শলৎস। করোনা মহামারীর সময়টাতে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত অর্থ সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখায় তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।

দলীয় প্রধান না হলেও হচ্ছেন চ্যান্সেলর

২০১৯ সালে এসপিডির প্রধান পদে লড়েছিলেন ওলাফ শলৎস। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে তার চেয়ে রাজনীতিতে কম অভিজ্ঞদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তাতে অবশ্য দমে যাননি তিনি। বরং গতবছর তার দল তাকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এসপিডি, মুক্ত গণতন্ত্রী দল এফডিপি ও সবুজ দলের গড়া জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।