ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন জনসন

author-image
Harmeet
New Update
ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন জনসন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মন্ত্রী, কর্মকর্তাদের করোনা বিধি লঙ্ঘনের জেরে গত বছরই বরিস জনসনের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছিল। বড়দিনের সেই পার্টির ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে ক্যাবিনেট সচিব সাইমন কেসকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, নিজের অবস্থানে অনড় থেকে জনসন বলেছেন, লকডাউন বিধি লঙ্ঘন করে কোনো পার্টি হয়নি।বিতর্কের সূত্রপাত গত মঙ্গলবার রাতে। ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের অন্দরে ক্রিসমাস পার্টির একটি ভিডিও সম্প্রচার করে একটি টিভি চ্যানেল। ব্রিটিশ মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে যখন ইনডোর পার্টি পর্যন্ত নিষিদ্ধ, তখন গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পিএমও’র কর্মীরা বড়দিন পালনে মেতে ওঠেন। মদ থেকে চিজ, উপহার সামগ্রী থেকে গেমস কী ছিল না তাতে। ওই ভিডিওতে তৎকালীন প্রেস সচিব অ্যালেগ্রা স্ট্রাটনকে অবৈধ পার্টি নিয়ে মজা করতেও দেখা গেছে। এরপরেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অভিযোগ, করোনা রোধে দেশবাসীর জন্য বিধিনিষেধ জারি হলেও, নিয়ম তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাই তা মানছেন না।



ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই সেই রিপোর্ট খণ্ডন করতে ময়দানে নেমে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পাল্টা সরকারকে একহাত নিয়ে লেবার পার্টির বিরোধী দলনেতা কিয়ের স্টার্মার দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।’ তার কথায়, ‘পরিবার, আত্মীয়দের থেকে আলাদা করে দিলেও দেশবাসী লকডাউন বিধি মেনেছেন। অনেকে তাদের পরিজনদের শেষ বিদায় পর্যন্ত জানাতে পারেননি।’