শ্মশান কালী পুজোয় বিধায়ককে সংবর্ধনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ

author-image
Harmeet
New Update
শ্মশান কালী পুজোয় বিধায়ককে সংবর্ধনা ও শীতবস্ত্র বিতরণ

হরি ঘোষ, নাচন : দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের নাচন গ্রামে বিগত ১৭ বছর ধরে চলে আসছে শ্মশানকালী মায়ের পুজো । কোরোনা অতিমারীর কারণে বিগত দুই বছর পুজোয় আড়ম্বর না থাকলেও এ বছর ধুমধামের সঙ্গে পালন হচ্ছে মায়ের পুজো ।
গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা তপন ঘোষ ,যিনি এই মা কালীর পুজোর শুরু থেকেই আছেন, তিনি জানান, সতেরো বছর আগে গ্রামে আমরা কয়েকজন এক জায়গায় বসে তাস খেলছিলাম । পাশের গ্রাম পারুলিয়ায় শ্মশানকালী মায়ের পুজো হয়। তা দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও ঠিক করি নাচন গ্রামে মা শ্মশানকালীর পুজো হবে । তারপর থেকেই ধুমধামের সঙ্গে চলে আসছে এই মায়ের পুজো। তিনি জানান, শ্মশানকালী মায়ের পুজোয় নাচন গ্রামের বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো আগে। করোনার কারণে বিগত দুই বছর সেগুলি বন্ধ। তবে এ বছর গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই ধুমধামের সঙ্গে হল মায়ের পুজো। এই উপলক্ষ্য গ্রামে নরনারায়ণ সেবাও হয়। নাচন গ্রামের সমস্ত বাসিন্দাদের সাথে সাথে আশেপাশের গ্রামের বহু মানুষ মায়ের ভোগ খেতে আসেন । প্রায় হাজার তিনেক মানুষ আজ নরনারায়ণ সেবায় অংশ নেবেন । গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই মা কালীর পুজো উপলক্ষ্যে আজ পান্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে সংবর্ধনাও দেওয়া হল । এর সাথে সাথে গরীব মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হল শীত বস্ত্র । গ্রামের মানুষদের দ্বারা গরীব দুস্থদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য বিশেষ হাত বাড়িয়েছেন ভাবে বিশিষ্ট সাংবাদিক মনোজ সিংহ।

অনুষ্ঠানে এসে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান ,মায়ের পুজোয় আসতে পেরে ভীষণভাবে খুশি তিনি । কিন্তু পুজো আরও বড় আকারে ভালোভাবে হোক এটাই আশা রাখেন তিনি । তবে যেখানে গরীব মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছিল সেটা ছিল খোলা মঞ্চ । আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বৃষ্টিও পড়ছিল সামান্য । এটা দেখেই সহৃদয় বিধায়ক জানান ,আগামী দিনে এই খোলা মঞ্চের ওপর শেড বানানো হবে যাতে ভবিষ্যতে এ রকম অনুষ্ঠানে কাউকে বৃষ্টিতে ভিজতে না হয় । বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সৃজিত মুখার্জি, ছিলেন জেলা পরিষদের নেত্রী চুমকি মুখার্জি সহ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কিরীটী মুখার্জি ।