নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে সকাল থেকে মেঘলা আকাশ সাথে শুরু ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আর এতেই ঘোর দুশ্চিন্তায় কৃষকরা,মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তে ফসল গোছানোর তোড়জোড়। প্রশাসনের তরফে চলছে লাগাতার সচেতনতামূলক মাইকিং প্রচার। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশকিছু এলাকায় শনিবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ সাথে শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তেমনই ছবি দেখা গেলো জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনায়। শুধু চন্দ্রকোনাতেই নয় মহকুমার ঘাটাল,দাসপুরেও একই ছবি। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড়ের, তারই আভাস মিলতে শুরু করেছে শনিবার সকাল থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনে। আর এতে ঘোর দুশ্চিন্তায় কৃষকরা,মাঠে এখনও পড়ে রয়েছে পাকা ধান। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তা গুছিয়ে তুলতে তৎপর চাষিরা। আবার কোথাও সদ্য আলু লাগানো শুরু হয়েছে, কোথাও সেকাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এই আবহাওয়াতেও অসম্পূর্ণ থাকা আলু লাগানোর কাজ সেরে ফেলতে তৎপর চাষিরা। শীতের শুরুতে প্রকৃতির এমন খামখেয়ালিপনায় তাদেরকেই বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে দাবি।অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় প্রশাসনের তরফেও চলছে লাগাতার মাইকিং প্রচার।সে ছবিও উঠে এলো চন্দ্রকোনায়। ইতিমধ্যে ঘাটালের ঘোলসাই ফ্লাড সেন্টারে কল্যাণী থেকে ১৮ জনের একটি এনডিআরএফ দল এসে পৌঁছে গিয়েছে ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায়। মোটের উপর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শেষ পর্যন্ত কেমন প্রভাব ফেলে এি জেলায় তার দিকেই তাকিয়ে এখন সবাই।