নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর থেকে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিরত থাকেনি গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা। তারই প্রতিশোধ নিতে জনগণকে ক্ষুধার রাজ্যে ঠেলে দিচ্ছে জান্তারা। তারা এখন কৌশলে ‘ভাতে মারছে’ নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে। শুক্রবার এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি উপদেষ্টা পরিষদ। তারা বলছেন, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করছে জান্তারা। এমনকি খাদ্য ও ওষুধ পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত সম্ভাব্য রুটগুলোর রাস্তা কেটে ফেলছে, পরিকল্পিতভাবে গবাদিপশুগুলোকে হত্যা করছে ক্ষমতাসীনদের দোসররা। এ অবস্থায় আরেকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে বাদ পড়েছে জান্তা সরকার।
মিয়ানমারের বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বে কৃষকদের ফসল কাটায় বাধা দিয়েছে সামরিক বাহিনী। বিশেষজ্ঞদের এ পরিষদে এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন যারা আগে জাতিসংঘের হয়ে মিয়ানমারে কাজ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে গণতন্ত্রপন্থি রাজনীতিবিদদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সমান্তরাল জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সঙ্গে কাজ করা, জান্তাদের সঙ্গে নয়।