নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কৃষ্ণসাগরে প্রবেশের পর মার্কিন গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস আরলিগ বার্ককে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে যখন নানা ইস্যুতে উত্তেজনা চলছে তখন একথা জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ডিফেন্স সেন্টারের বরাত দিয়ে রাশিয়ার এক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, গতকাল ২৫ নভেম্বর মার্কিন ড্রেস্ট্রয়ার কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ করে এবং তার ওপর রুশ সামরিক বাহিনী নজরদারি শুরু করেছে।
মার্কিন ষষ্ঠ নৌবহর দাবি করছে, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে আরলিগ বার্ক কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ করেছে এবং সেখানে অবস্থানকালে আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলপথের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য ডেস্ট্রয়ারটি ন্যাটো মিত্রদের সাথে কাজ করবে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে মার্কিন নেভাল কমান্ড শিপ ‘মাউন্ট হুইটনি’ কৃষ্ণসাগরে একইভাবে প্রবেশ করেছিল। সে সময় রুশ সামরিক বাহিনী সে জাহাজকেও পর্যবেক্ষণে রাখে।
এদিকে, ভিয়েনায় সামরিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান কনস্টান্টিন গ্যাব্রিলভ বলেছেন, রাশিয়া ও ইউরোপকে বিভক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী এই যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে এবং ছোট আকারের যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। আমেরিকা ও ইউক্রেনের সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে।