নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ‘গণতন্ত্র সম্মেলন’র আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গাল ভরে যাকে বলা হচ্ছে ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’। অর্থাৎ ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সম্মেলন’। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আগামী ডিসেম্বরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেওয়ার জন্য শতাধিক দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অর্থাৎ ওই সব দেশগুলোকে ‘গণতান্ত্রিক দেশ’র তালিকায় রাখা হয়েছে। আবার বহু দেশকেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতন্ত্র নিয়ে এমন বিশাল আয়োজন করতে যাওয়া সেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘরেই হেলাফেলায় দুর্বল হয়ে আসছে গণতন্ত্র। অন্য দেশে ভোটাধিকার সুরক্ষার কথা বললেও নিজেদের দেশেই সবার ভোটাধিকার নেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের মতো নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা। দেশটির সরকার ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ বলেছে, শক্তিশালী ও কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। অধিকারবঞ্চিত সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচারসহ অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে সবকিছুই ঢেলে সাজাতে হবে। এএফপি ও পলিটিকো। যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায়ই ‘গণতন্ত্রের আঁতুড়ঘর’ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে।