প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সাপুড়ে

author-image
Harmeet
New Update
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সাপুড়ে

হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : অভিনব প্রতারণার জাল, আর সেই জালে বন্দি হয়ে সর্বশান্ত হয়ে যেত মানুষ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের জালে এক সাপুড়ে।
"বাবুরাম সাপুড়ে কোথা যাস বাপুরে, আয় বাবা দেখে যা, দুটো সাপ রেখে যা, যে সাপের চোখ নেই নাক নেই মুখ নেই", ছেলেবেলার সুকুমার রায়ের সেই কবিতা যেন এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গাপুরের বেশ কিছু প্রান্তে। ধর্মীয় ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে শহরের বেশ কিছু প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সাপুড়ের একটি দল, জনা পাঁচেকের এই দল ঘুরে ঘুরে পৌঁছতো গৃহস্থ্যের বাড়িতে, টার্গেট থাকতো মহিলারা, স্বামী সন্তানের ক্ষতির ভয়, কখনো গৃহস্থের অমঙ্গলের কথা বলে শিকড় বাকরের টোটকা দিত, আবার অনেক সময় বিষধর সাপকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে মোটা টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে এই সাপুড়ের দলের বিরুদ্ধে। গৃহস্থকে বোকা বানিয়ে দিয়ে অনেক সময় সোনা দানা সব নিয়ে পালাতো এই সাপুড়েরা। মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত ধোবিঘাট এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে পাঁচ সাপুড়েকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখতে পেয়ে তাড়া করে, চারজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে ধরা পড়ে যায় পিয়ারুল মাল। সে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের সোয়াইগ্রামের বাসিন্দা। তাকে  হাতে নাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা, চলে গণপ্রহার। তড়িঘড়ি পুলিশ পৌঁছে পিয়ারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধৃত পিয়ারুলের কাছ থেকে ছটি ভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত পিয়ারুল মালকে দুর্গাপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত পিয়ারুল মাল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে শহরের সর্প প্রেমীরা বলছেন, সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই সাপুড়েরা সর্বশান্ত করে দেয় গৃহস্থকে, ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে গোটা অপকর্ম সেরে ফেলে তারা আর যতক্ষনে সাধারণ ছা পোসা মানুষ সব বুঝতে পারছেন ততক্ষনে সব শেষ। শঙ্কর দেবনাথ নামে দুর্গাপুর বন দফতরের এক আধিকারিক স্বীকার করে নেন এই সাপুড়ের দলের প্রতারণার কথা, আইনমাফিক এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। সাপুড়ের দলের অভিনব এই প্রতারণার ঘটনায় এখন শহর জুড়ে চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।