ভাঙন ঠেকাতে 'ভেটিভার ঘাস' লাগানোর উদ্যোগ ব্লক প্রশাসনের

author-image
Harmeet
New Update
ভাঙন ঠেকাতে 'ভেটিভার ঘাস' লাগানোর উদ্যোগ ব্লক প্রশাসনের

দিগ্বিজয় মাহালী, চন্দ্রকোনা : গত বর্ষায় লাগাতার বন্যার জেরে চন্দ্রকোনায় শিলাবতী ও কানা নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপোতা, চাষীবাড়, চৈতন্যপুর সহ একাধিক জায়গায় শিলাবতী ও কানা নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়।ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে এই দুই নদী। গত বর্ষায় পরপর চারবার বন্যার সম্মুখীন হতে হয় ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের।বন্যার জলের তোড়ে একাধিক জায়গায় নদীর পাড় ধসে চাষের জমি বা গ্রামের দিকে চলে এসেছে। একাধিক জায়গায় নদী পাড়ের বেহাল দশায় আগামী দিনে চরম সমস্যায় পড়ার আশঙ্কায় ওই এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।সবে বর্ষা বিদায় নিয়েছে, এসময় চন্দ্রকোনার নদীগুলিতে জলও কম। আগামী দিনে এইসব নদীগুলির পাড় ভাঙন রোধে অভিনব উদ্যোগ নিল চন্দ্রকোনা ২ ব্লক প্রশাসন।মুলত সুন্দরবন সহ সামুদ্রিক এলাকায় ভাঙন রোধে ব্যবহার করা হয় ভেটিভার ঘাস। এবার সেই পদ্ধতি অবলম্বন করলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লক প্রশাসন। ব্লকের ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপোতা,চাষীবাড়,চৈতন্যপুর সহ কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শিলাবতী ও কানা নদীর পাড়ে ভেটিভার ঘাস লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে নার্সারি থেকে ভেটিভার ঘাস কিনে নিয়ে এসে নদীর পাড়ে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে সাথে নিয়ে খোদ ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ একাজে তত্বাবধান করছেন।ইতিমধ্যে ব্লকের ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপোতা ও চাষীবাড় এলাকায় শিলাবতী নদীর পাড়ে এই ঘাস লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একশো দিনের কাজে শ্রমিকদের দিয়ে তা রক্ষণাবেক্ষণেও নজর দেওয়া হচ্ছে। বিডিও অমিত ঘোষ নিজে ওইসব জায়গাগুলি পরিদর্শন করে এসেছেন।নদী পাড়ের ভাঙন ঠেকাতে এই জাতীয় ঘাস লাগিয়ে অনেকটাই সুফল মিলবে বলে আশাবাদী বিডিও।তবে এই ঘাস যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য এলাকার মানুষদেরও দেখভালের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।নদী ভাঙন রোধে এমন উদ্যোগ এজেলায় প্রথম বলেই মনে করছেন অনেকেই।গত বর্ষায় লাগাতার চারবারের বন্যায় নদী তীরবর্তী বিভিন্ন জায়গায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যেভাবে নদী পাড় ভাঙন দেখা দিয়েছে তা শুধুমাত্র বাঁধ মেরামত করে ঠেকানো সম্ভব নই।তাই বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে ভেটিভার জাতীয় ঘাস নদী পাড়ে লাগিয়ে তা সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করলে আগামী দিনে ভাঙন অনেকটাই ঠেকানো যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন।