শাখা সংগঠন এর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ স্বয়ং জেলা তৃণমূল সভাপতির।

author-image
Harmeet
New Update
শাখা সংগঠন এর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ স্বয়ং জেলা তৃণমূল সভাপতির।

দেবাশীষ বিশ্বাস, দিনহাটাঃ "তৃণমূলের শাখা সংগঠন এর বেশকিছু নেতৃত্ব প্রভাবশালী নেতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জেলা সভাপতিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এটা কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া হবে না। তারা সিদ্ধান্ত নিতেই পারে কিন্তু তা অবশ্যই জেলা সভাপতির সাথে কথা বলে নিতে হবে। রাজ্য নেতৃত্বের এমনটাই নির্দেশ।"মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বিবৃতিতে এমনটাই বললেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তিনি বলেন, শাখা সংগঠন যেমন তৃণমূল যুব কংগ্রেস, তৃণমূল শহর ব্লক নেতৃত্ব, কিষান এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালী নেতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা সংগঠনের পরিপন্থী। এই সমস্ত ক্ষেত্রে জেলা সভাপতির সাথে আলোচনা পর্যন্ত করা হচ্ছে না। একাংশের অভিযোগ আরো মারাত্মক, সহজ সরল নিপাট ভদ্রলোক জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনকে তেমনটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের একাংশ নেতৃত্ব। সেই কারণে কোথাও মর্যাদা পাচ্ছেন না তিনি। বলাবাহুল্য, কয়েক মাস আগে তৃণমূলের কোচবিহার শহর ব্লক সংগঠন ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্বভার প্রদান করেন বেশ কিছু কর্মীকে। সেই সময় সভাপতির সাথে কথা বলা হয়নি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। আবার গত সোমবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি 51 জনের কমিটি ঘোষণা হয় সেক্ষেত্রেও সভাপতির সাথে কোন রকম আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন গিরিনবাবু। যদিওবা এই দুই ক্ষেত্রেই গঠিত কমিটি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানান গিরিনবাবু। বারবার কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা জানতে চাইলে গিরিনবাবু বলেন, শাখা সংগঠন এর নেতৃত্ব প্রভাবশালী নেতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন। কোথাও মিস কমিউনিকেশন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলাস্তরে আলোচনা হয়েছে কমিটি স্থগিত রাখা হয়েছে পূর্ণ আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে গোষ্ঠী কোন্দল নেই বলে এদিন আরো একবার জোর গলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি একত্রিত হয়েছে বলে দাবি করেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তবে তৃণমূলের অন্দরে এই খোঁচাখুঁচি আগামী দিনে পৌর নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার।