নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সিরিয়ায় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের কথিত আস্তানায় হামলার অজুহাতে ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী পরপর দুই দফা বিমান হামলা চালিয়ে ৬৪ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করেছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রকাশ না করে গোপন করেছে বলে নতুন করে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আল-জোর প্রদেশের বাগুজ শহরের কাছে ওই বিমান হামলা চালানো হয়। হামলার সময় অপারেশন সেন্টারে উপস্থিত থাকা মার্কিন বিমান বাহিনীর একজন আইনজীবী মনে করেন, ওই হামলায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ সংঘটিত হয়েছে। তিনি পরবর্তীতে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইনস্পেক্টর জেনারেল এবং মার্কিন সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করেন বলে জানিয়েছে। কিন্তু এ সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তদন্ত বা বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি দায়সারা তদন্ত করেছিল যেটির প্রতিবেদনে বোমাবর্ষণের কথাই উল্লেখ করা হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানকারী মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এই ভয়াবহ গণহত্যাকে ‘বৈধ আত্মরক্ষা’ বলে সাফাই দিয়েছে। এটি দাবি করেছে, ওয়াশিংটন-সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়াদের সমর্থনে ওই হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । এটি আরো দাবি করেছে, ঘটনাস্থলে যে বেসামরিক নাগরিকদের উপস্থিতি নেই সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড আরো দাবি করেছে, নিহত ৬০ জনের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের উপস্থিতি শনাক্ত করা কঠিন ছিল কারণ, নিহতদের মধ্যে অন্তত একজন নারী ও একজন শিশু সশস্ত্র ছিল বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে দমনের অজুহাতে ২০১৪ সালে সিরিয়ায় আগ্রাসন চালায় আমেরিকা। তবে দায়েশকে দমনের পরিবর্তে মার্কিন সেনারা এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।