শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বে থমকে মাছ চাষ

author-image
Harmeet
New Update
শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বে থমকে মাছ চাষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঁকসা : বছর পাঁচেক আগে দুর্গাপুরের কাঁকসার বেশ কিছু অঞ্চলে পুকুর কাটার কাজ হয়েছিল কৃষি দপ্তর থেকে সেচের জন্য,পাশাপাশি মাছ চাষের কথাও জানানো হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল পুকুরের এই জল যেমন চাষের সেচের কাজে ব্যবহার হবে, ঠিক তেমনি ভাবে সরকারি উদ্যোগে কাটা এই পুকুরে মাছ ছেড়ে সেই মাছ বাজারে বিক্রি করে এলাকার স্থানীয় বেকারদের অর্থনৈতিক ভাবে সম্বল করে তোলা হবে। আর মাছের চারা বন্টনের মূল দায়িত্ব বর্তায় কৃষি প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা সংস্থার ওপর। সরকারি উদ্যোগে কাঁকসার বিদবিহার অঞ্চল সহ আশপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের আর্থ সামাজিক অবস্থা বদলে যাওয়ার কথা ছিল এই প্রকল্পে। বিদবিহার অঞ্চলে এখনও পুকুরে মাছ চাষ শুরুই করতে পারেনি স্থানীয় বেকাররা, স্রেফ মাছের চারা না পাওয়া যাওয়াতেই এই বিপদ বেঁধেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিদবিহারের পঞ্চায়েত কৃষি সঞ্চালক তথা তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের সদস্য গিরিধারী সিনহার সাথে তৃণমূল পরিচালিত কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা আত্মা নামে ঐ সরকারী মাছের চারা বন্টনকারী সংস্থার চেয়ারম্যান মধু রুইদাসের প্রবল বিরোধে থমকে রয়েছে গ্রাম বাংলার বেকারদের ভবিষৎ।

দুই তৃণমূল নেতার এই বিবাদে সরকারি স্তরে এখনও মাছ বন্টন প্রক্রিয়া শুরু করাই যায়নি, কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা কৃষি সঞ্চালক গিরিধারী সিনহার অভিযোগ,মাছ এসেছিল কিন্তু সরকারী সংস্থা আত্মা সেই মাছ বন্টন করতে পারেনি ঠিকভাবে আর যার জন্য সরকারি উদ্যোগ থমকে গেছে , মেলেনি মাছের চারা,পঞ্চায়েত সেই কথা আত্মার চেয়ারম্যান তথা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মধু রুইদাসকে জানিয়েছিল, কিন্তু মেলেনি কোনো সদুত্তর,ক্ষোভ উগরে দিয়ে কৃষি কর্মাধ্যক্ষর তথা সরকারি সংস্থা আত্মার চেয়ারম্যান মধু রুইদাসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা কৃষি সঞ্চালক গিরিধারী সিনহা।অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা আত্মার চেয়ারম্যান মধু রুইদাস পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,মাছের চারা আসেনি এখনও আর পঞ্চায়েত তাদেরকে এই ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। কাঁকসার গ্রামীণ স্তরের দুই তৃণমূল নেতা ও সরকারী পদাধিকারীদের এই প্রবল দ্বন্দে এখন থমকে বেকার দের মাছ চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ। এই জায়গা থেকে তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিয়েছে বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত। তার অভিযোগ স্রেফ দুই তৃণমূল নেতার প্রবল মতবিরোধে আর ঠান্ডা লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রাম বাংলার আর্থ সামাজিক অবস্থা, থমকে গ্রামের বেকারদের স্বনির্ভর হয়ে ওঠার সরকারি প্রকল্প।