সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য্য, ক্যালগারি, কানাডাঃ কানাডায় গ্রীষ্মকালকে যতটা নিরীহ, সরল মনে হয়, সুন্দর হলেও ততটা সে সরল নয় মোটেও। প্রতিবছরই শুষ্ক গাছ পালায় আগুন লেগে যায়। জ্বলতে থাকে national park এর অন্তর্গত বনাঞ্চল। এ বছর বৃটিশ কলম্বিয়ায় শতাধিক জায়গায় আগুন লেগেছিল। প্রায় সারাটা গ্রীষ্ম ক্যালগেরীর বাতাসে ছিল পোড়া গন্ধ। বৃটিশ কলম্বিয়ার অবস্থা ছিল আরও শোচনীয়। বনে বিভিন্ন কারনে আগুন লাগে।শুষ্কতাই প্রধান কারণ। কিন্তু মাঝে মাঝে ঘটানো হয় prescribed firing!
প্রাকৃতিক ভাবে বনে যে আগুন লেগে যায়,eco system এর জন্য তা ভালো। আগুন বনের মেঝে পরিষ্কার করে। মাটির প্রয়োজনীয় খনিজ নতুন ভাবে কাজ শুরু করে গাছ পালাকে পুষ্টি যোগাতে। গাছেদের এবং অন্য পশু পাখিদেরও রোগ ভোগ কমে যায়।”আগুন ওষুধ” ওদের জন্য প্রয়োজন। এই কারনে কখনও কখনও prescribed fire ঘটানো হয়। হাওয়ার ঠিকুজী কুষ্ঠী দেখে। আইডিয়াল সিচুয়েশন হওয়া চাই। নয়ত আগুন নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলেই মুশকিল। যারা বনদপ্তরে কাজ করেন,তাঁরা জানে ন্যাচারাল ফায়ারের দরকার আছে। একধরনের পোকা, পাইন গাছ খেয়ে ফেলে শুকনো করে দেয়। প্রচুর পাইন গাছ শুকনো হয়ে গেলে আরও বড় আগুন লাগতে পারে,সেটা অনেক বিপদজ্জনক। সেবারও আগুন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। ২০১৫।জ্যাসপার ন্যাশনাল পার্ক।
২০০ হেক্টর থেকে ৫০০০ হেক্টর।২০২১ এও প্রায় সেরকম। ছয় বছর পর জ্যাসপার ন্যাশনাল পার্কের ভেতরে গেলে দেখা যায় কিছু কিছু জায়গায় বিস্তৃত অঞ্চলে বিছানো আছে অগ্নিদগ্ধ ভূমিরূপ।
প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক আগুন!
New Update