নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জাইনাল ইনফেকশন বা যোনী এলাকায় সংক্রমণ মেয়েদের বেশ প্রচলিত সমস্যা। শুষ্কতা, চুলকানি, অস্বস্তিভাব এই সমস্যার লক্ষণ। আবার অনেক সময় নারীরা তলপেটে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। এটা কোনও সাধারণ ব্যথা নয়, এটা অনেক সময় নারীর গোপন রোগের ইঙ্গিত দেয়। অশিক্ষিত, দরিদ্র নারীদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি, কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার খুবই অভাব রয়েছে। তবে প্রতিদিনের জীবন যাপনে কিছু বিষয় মেনে চললে সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। আসুন জেনে নেই ভ্যাজাইনা বিষয়ে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য।
১. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
ভ্যাজাইনা বা যোনী আলাদাভাবে পরিষ্কার করতে হয় না। সৃস্টিকর্তা প্রাকৃতিকভাবেই এই স্থান পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তবে যোনী পথের আশেপাশের স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হয়।
২. ভ্যাজাইনার সুরক্ষা ব্যবস্থা
ভ্যাজাইনার সুরক্ষার জন্য কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট থাকে, ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে নরমাল ফ্লোরা (Normal Flora) বলে। এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো ভ্যাজাইনার অভ্যন্তরীণ পরিবেশে স্থিতি বজায় রাখে।
৩. নিজস্ব গন্ধ
প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটি গন্ধ থাকে। ভ্যাজাইনাতেও হালকা কিছু গন্ধ থাকা খুবই স্বাভাবিক। মাসিকের ধরণ, খাবারদাবার, শরীরে পানির পরিমাণ ইত্যাদি কারণে এই গন্ধে পার্থক্য থাকে। এই গন্ধ দূর করতে ভ্যাজাইনাতে আলাদা করে সেন্ট, পারফিউম বা অন্য কোন সুগন্ধি প্রোডাক্ট ব্যবহার করার দরকার নেই।
তবে যদি মনে হয় যে অতিরিক্ত বাজে দুর্গন্ধ হচ্ছে, তাহলে সব থেকে ভালো সমাধান হচ্ছে একজন গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
৪. নিজে নিজেই চিকিৎসা নয়
অনেকেই আছেন ভ্যাজাইনার ইস্ট জাতীয় ইনফেকশন দূর করতে সেখানে টক দই অথবা রসুন ব্যবহার করেন! তারা দাবি করেন যে এধরনের ইনফেকশনের কারণে যে চুলকানি হয় তাতে টক দই দিলে কিছুটা আরাম লাগে, রসুন ব্যবহারে আরোগ্যলাভ হয়!