শ্বশুর বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা ১৯ বছর বয়সী গৃহবধূর

author-image
Harmeet
New Update
শ্বশুর বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা ১৯ বছর বয়সী গৃহবধূর

দিগবিজয় মাহালি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ  জানাযায়,প্রায় দু বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার খড়ার শ্যামসুন্দরপুরের ছোটু ছাতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় ঘাটালের হেমন্তপুরের বাসিন্দা মৌপ্রিয়া ছাতিকের(১৮) ।তাদের দশ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।মৌপ্রিয়ার বাপের বাড়ির সদস্যরা আজ বিকেল নাগাদ খবর পায় তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে,ঘাটাল হাসপাতালে রয়েছে মৃতদেহ।যদিও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কোনো খবর দেয়নি তাঁদের।প্রতিবেশীদের থেকে জেনেছে যে তাঁদের মেয়ে আজ সকাল দশটা নাগাদ মারা গেছে।মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, তাঁরা ঘাটাল হাসপাতালে আসার পরেই পালিয়ে গিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।তাঁদের অভিযোগ আমাদের মেয়েকে খুন করেছে স্বামী থেকে শুরু করে শ্বশুর বাড়ির লোক।ভাইফোঁটার দিন বাপের বাড়ির সদস্যরা মেয়ের কথায় কিছুটা আঁচ পেয়েছিল যে তাঁদের মেয়ের সংসারে মাঝে মধ্যেই চরম অশান্তি লেগে থাকে কিন্তু কি কারণ জানতনা তাঁরা। আজ বিকেল নাগাদ তাঁরা জানতে পারে যে তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু একই থানা এলাকার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের মধ্যে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি হওয়া সত্বেও মৃতের স্বামী থেকে শুরু করে শ্বশুর বাড়ির কেউই খবর দেয়নি যে তাঁদের মেয়ে মারা গেছে।মেয়ের বাড়ির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়,কেনো জামাই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ তড়িঘড়ি নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে চলে যায় কাউকে না খবর দিয়ে?কেনো তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীদের থেকে পেতে হলো,জামাই বা শ্বশুরবাড়ির কেউ কেনো জানালো না? মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ঘাটাল থানায় পুরো বিষয়টা জানিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছে যে তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।সমস্ত বিষয়টা খতিয়ে দেখছে ঘাটাল থানার পুলিশ।