খনির সম্প্রসারণের জন্য সরানো হলো জোহরস্থান

author-image
Harmeet
New Update
খনির সম্প্রসারণের জন্য সরানো হলো জোহরস্থান

হরি ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর : খনির সম্প্রসারণের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আদিবাসীদের একটি ধর্মস্থান । মঙ্গলবার ধার্মিক রীতি-রেওয়াজ মেনে সেটি সরিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হলো অন্য জায়গায়। ঘটনাটি পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত মধুডাঙ্গা গ্রামের। ইসিএলের শোনপুর বাজারির খনির সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সেজন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত মধুডাঙ্গা গ্রামটি ।

 গ্রামে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে প্রায় দেড়শটি আদিবাসী পরিবার বসবাস করেন । গাছপালা জঙ্গলে ঘেরা গ্রামটিতে আদিবাসী সমাজের ধার্মিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে একটি জোহরস্থান । আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে স্থানটি পবিত্র ও স্পর্শকাতর । শীঘ্রই এলাকাটিতে কয়লা খননের কাজ শুরু হবে । সেজন্য মধুডাঙ্গা এলাকার আদিবাসীদের খোট্টারডিহি মৌজায় পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে সংস্থা । ইতিমধ্যে সেই জায়গায় চলে গেছে বেশ কয়েকটি পরিবার । পূনর্বাসনের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় মধুডাঙ্গাতে এখনো রয়েছে বাকি আদিবাসী পরিবারগুলো । ধার্মিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে পবিত্র জোহরস্থানটিও । ধার্মিক স্থানটি গ্রামের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সংস্থা । গ্রামবাসীদের সম্মতি নিয়ে মঙ্গলবার জোহরস্থানটি গ্রামের অন্যত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করা হয় । 

উপস্থিত ছিলেন ইসিএলের শোনপুর বাজার প্রোজেক্টর জেনারেল ম্যানেজার আর সি মহাপাত্র, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ অনুভা চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা । গ্রামবাসীদের পক্ষে অজয় হাঁসদা জানান গ্রামবাসীদের পূনর্বাসনের কাজ সম্পন্ন হলে নতুন জায়গায় স্থানটি প্রতিষ্ঠা করা হবে । আপাতত সেটি গ্রামের অন্য জায়গায় সরানো হলো । এখন থেকে সেখানেই আদিবাসীদের সমস্ত ধার্মিক অনুষ্ঠান হবে । প্রোজেক্টের সম্প্রসারণের কাজ যাতে বিঘ্ন না হয় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি ।