নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমের দেউচা-পাচামিতে কয়লা উত্তোলন প্রকল্পের ইচ্ছুক জমিদাতাদের জন্য মঙ্গলবার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই উচ্ছ্বসিত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় দেউচার মানুষ খুশি। তাঁর দাবি, মমতা যে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন তা কেন্দ্রও দিতে পারবে না। দেউচা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই অনুব্রত বলেন, 'এমন আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারও কল্পনা করতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তা শুনে দেউচা এলাকার মানুষেরা খুব খুশি। দেউচায় বসবাসরত আদিবাসীদের মধ্যে কোনও রকমের অসন্তোষ নেই। ওই এলাকার সমস্ত সাধারণ মানুষের উন্নতি হবে। তাঁরা সকলেই উন্নয়নের পক্ষে। এত টাকা কেউ দেবে না। এমন সুযোগ আর কোথাও পাওয়া যাবে না। সকলেই এতে খুশি হবেন।' প্রসঙ্গত, দেউচা-পাচামি হল বীরভূমের মহম্মদবাজার হরিণ সিং কোল ব্লক। ৩৪০০ একর জমি নিয়ে ১১৭৮ মিলিয়ন হেক্টর কয়লা আছে সেখানে। ১১৪৮ মিলিয়ন হেক্টর ব্যাসল্ট জমা রয়েছে এই এলাকায়। এই ৩৪০০ একরের মধ্যে এক হাজার একর সরকারি জমি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আগে সরকারি জমিতে কাজ শুরু করব। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য জায়গায় জমি নেওয়া হবে।' মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বাম-সরকার যে ভুল করেছিল, তাঁর সরকার সেই ভুল করবে না।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এই এলাকায় ১২টি গ্রামে ৪৩১৪টি বাড়িতে ২১ হাজারের বেশি মানুষ বাস করেন। যার মধ্যে তিন হাজার ছ’শো জন তফশিলি জাতিভুক্ত এবং ৯০৩৪ জন তফশিলি উপজাতিভুক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, বাড়ি-সহ জমি থাকলে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়াও স্থানান্তকরণের জন্য পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা। আর আর কলোনিতে পাবেন ৬০০ বর্গফুটের বাড়ি। যে সব পরিবার বাড়ি জমি হারাবে, তাদের পরিবারের একজন জুনিয়র কনস্টেবলের চাকরি পাবেন। এমন চাকরি পাবেন ৪৯৪২ জন।