নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
ঝগড়া করুন বুঝেশুনে
আগেই যেটা বললাম, ঝগড়া করার সময়ও আপনাকে স্মার্ট হতে হবে। অর্থাৎ ঝগড়া করার মতো বিষয় নিয়েই ঝগড়া করতে হবে। প্রতিটি ছোটখাটো সমস্যাকে গুরুতর ইস্যু বানিয়ে তুললে আপনাদেরই ক্ষতি! যদি এমন কোনও বিষয় থেকে থাকে যা নিয়ে আপনার স্বামী কোনও মতেই আপোস করতে রাজি নন এবং তা থেকে বড়ো ঝামেলা বেধে যেতে পারে, তা হলে ব্যাপারটা নিয়ে খোঁচাখুঁচি না করাই ভালো! পারিবারিক শান্তি বজায় রাখুন, আর ওই বিষয়টা নিয়ে অন্যভাবে ডিল করার চেষ্টা করুন।
মাথা ঠান্ডা করতে শিখুন
ঝগড়ার মাত্রা যদি কোনও কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তা হলে আপনি আর আপনার পার্টনার, দু’জনেরই খানিকক্ষণ সময় নিয়ে মাথা ঠান্ডা করা দরকার। পার্টনারকে বলুন আপনারা এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন। প্রয়োজন হলে অন্য ঘরে চলে যান, একা একা থাকুন যতক্ষণ না মেজাজ শান্ত হচ্ছে। পরে ঠান্ডা মাথায় কথা বলে নিন।
ইগো সরিয়ে রাখুন
যাঁর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে (এ ক্ষেত্রে আপনার পার্টনারের) তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিটিও বুঝতে শিখুন। নিজের ভুল থাকলে স্বীকার করে নিন। ভুল স্বীকার করলে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না। রাগ পুষে রাখলে বা আপোস করার মনোভাব না থাকলে সম্পর্কে বড়োসড়ো চিড় ধরে যেতে পারে যা হয়তো পরে আর সামলানো সম্ভব হবে না।
বন্ধুদের সাহায্য নিন
সম্পর্কে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সচরাচর আমরা শুরুর দিকে তা লুকিয়ে রাখারই চেষ্টা করি। কিন্তু সমাধান না পেলে সমস্যা ধীরে ধীরে জটিল হতে শুরু করে। যদি মনে করেন আপনাদের মধ্যের ঝামেলাটা ধীরে ধীরে সিরিয়াস দিকে গড়াচ্ছে, তা হলে সময় থাকতেই পরিবারের অন্য মানুষজন, বন্ধুদের তা জানান, তাঁদের সাহায্য নিন। ওঁদের পরামর্শে আপনি হয়তো সম্পর্কটা ভালো করার নতুন দিশা খুঁজে পাবেন!