নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সারাদিনের ব্যস্ততার পর কিছুক্ষণের একান্ত সময় বের করে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হওয়া। আদরের চরমতম মুহূর্তে নিবিড় করে চিনে নেওয়া পরস্পরকে। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার তুঙ্গ মুহূর্তে বুঝে নেওয়া পরস্পরের মনের গোপনতম খবরটাও। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে যৌনতা শুধু এটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়! বরং যৌনতার কিছু সুবিধে রয়েছে যা স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখে!
দূরে থাক রোগভোগ
সর্দিকাশি, জ্বরজারি মাঝেমাঝেই ভোগায় আপনাকে? এ সব রোগ ঘন ঘন হওয়া মানে কিন্তু আপনার শরীরের ইমিউনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তেমন জোরালো নয়। জানেন কি, এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে তুলতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে নিয়মিত যৌন সম্পর্ক। গবেষকেরা জানাচ্ছেন সপ্তাহে একবার অথবা দু’বার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন যাঁরা, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়।
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে
ডাক্তারেরা বলেন, দিনে 20 মিনিট হাঁটলে যে ফল হয়, এক একটা সেক্স সেশন থেকেও সেই একই ফল পাওয়া যায়। কার্ডিও এক্সারসাইজ় করার সময় শারীরিক পরিশ্রম অনেক বেশি হয়। সেক্সে ততটা পরিশ্রম মোটেও হয় না, কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে সেক্সের সময় অ্যাকটিভ পার্টনারের হৃদস্পন্দনের গতি মিনিটে 120 বিট পর্যন্ত বেড়ে যায়।
ঝলমলে ত্বকের চাবিকাঠি
নিয়মিত যৌন সম্পর্কে যাঁরা লিপ্ত হন, তাঁদের ত্বক অনেক বেশি ঝলমলে, তারুণ্যে ভরপুর হয়। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা শরীরের রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে, ফলে ত্বকে অক্সিজেন পৌঁছোয় বেশি। এর ফলে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে টক্সিনও বেরিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ত্বক অনেক বেশি ঝকঝকে, জেল্লাদার দেখায়।
ব্যথাযন্ত্রণা থেকে মুক্তি
খামোকা পেনকিলার খেয়ে শরীরের বারোটা বাজাবেন না, বরং ভরসা রাখুন আদরে। গবেষণা বলছে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতা, স্পর্শ, ফোরপ্লে এবং ইন্টারকোর্সের মাধ্যমে শরীরে যে সব কেমিক্যাল তৈরি হয়, তা ব্যথাযন্ত্রণার বোধকে দূরে রাখে। ঋতুস্রাবের আগে পেটের ক্র্যাম্প, মাইগ্রেন, ক্লাস্টার হেেডক, টেনশনজনিত মাথাব্যথার মতো একগুচ্ছ অসুস্থতা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
গাঢ় ঘুমের সন্ধানে
মুঠো মুঠো ঘুমের বড়ি না খেয়ে পরেরবার ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটু শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে দেখুন তো! দেখবেন ঘুম আসবে সহজেই। সেক্সের পর রক্তে অক্সিটোসিনের মাত্রা বাড়ে আর কর্টিসলের পরিমাণ কমে যায়। অক্সিটোসিন হরমোনের প্রভাবে আপনার মনে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে কর্টিসল হল স্ট্রেস হরমোন, তাই কর্টিসল কমে যাওয়ায় মন চাপমুক্ত, ফুরফুের হয়ে ওঠে, একটা সার্বিক ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হয়। শরীর আর মন, দুইই শান্ত হওয়ার কারণে ঘুম আসে তাড়াতাড়ি।