নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে চলেছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করে মার্কিন বিদেশ দপ্তর। রিযাধকে ড্রোন হামলা থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি ওয়াশিংটনের। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, ইরানকে নজরে রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক AIM-120C মাঝারি পাল্লার মিসাইল কিনতে চলেছে সৌদি আরব। প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ২৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে রিযাধ। অকাশ থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম এই মিসাইলটি। প্রায় ১২ ফুট লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। মূলত, হামলাকারী ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতেই এই হাতিয়ার ব্যবহার করবে সৌদি যুদ্ধবিমানগুলি বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন অধিকারিকদের দাবি, ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের ড্রোন দিচ্ছে ইরান। আর সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সৌদি আরবের তেল শোধনাগারগুলিতে হামলা চালাচ্ছে তাঁরা। ইরানকে নজরে রেখে বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরাক, কুয়েত, জর্ডন ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’ মোতায়েন রেখেছে আমেরিকা। এছাড়া, ওই জায়গাগুলিতে ‘থাড মিসাইল সিস্টেম’ও রয়েছে। বিভিন্ন সেনঘাঁটিতে থাকা ওই হাতিয়ারগুলির চালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর সংখ্যায় সেনা ও টেকনিশিয়ান রাখতে হচ্ছে আমেরিকাকে। তবে এবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে হাউথিদের লাগাতার হামলায়। সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে ইরানের সমর্থিত হাউথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে মিত্রবাহিনী। ওই বাহিনীতে রয়েছে জর্ডন, কাতার ও সুদানের সেনারা। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বিগত দিনে বেশ কয়েকবার সৌদি আরবের তেল শোধনাগারগুলিতে রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হাউথিরা।
এবার সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে আমেরিকা
New Update