নিউজ ডেস্ক,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ রকমারি চায়না আলোয় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার চিরাচরিত প্রথা 'স্বর্গবাতি'। তাই এখন আর তেমন চোখে পড়ে না এই স্বর্গবাতি দেওয়ার রেওয়াজ। গ্রামবাংলায় গোটা কার্তিক মাস জুড়ে এই স্বর্গবাতি দেওয়ার রীতি চলে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি থেকে কার্তিক মাসের সংক্রান্তি পর্যন্ত একমাস ধরে প্রতি সন্ধ্যায় এই স্বর্গবাতি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
বাড়ির কুলবধূরা সন্ধ্যাবাতি দেওয়ার সময় মাথায় ঘোমটা দিয়ে ওই স্বর্গবাতি জ্বালিয়ে দিয়ে বলেন “দামোদরায় নভসি তুলায়াবে লোলয়া সহ প্রদীপন্তে / প্রযচ্ছামি নম অনন্তায় বেধসে”। অর্থাৎ লক্ষ্মীনারায়ণের উদ্দেশ্যেই এই রীতি ।
বর্তমানে গ্রাম বাঙলাতেও আর সেভাবে চোখে পড়ে না এই স্বর্গবাতি দেওয়ার রীতি। গৃহস্থরা এখন বাজার থেকে রকমারি চায়না আলো কিনে এনে তা জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। ফলে এই চায়না আলোর দাপটে আজ প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছে গ্রামবাংলার চিরাচরিত প্রথা স্বর্গবাতী দেওয়ার রীতি। তবে এখনও পূর্বপুরুষের শুরু করা স্বর্গবাতি দেওয়ার প্রথা টিম টিম করে বাঁচিয়ে রেখেছেন গ্রাম বাঙলার কতিপয় মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ের প্রত্যন্ত শাখাভাঙ্গা গ্রামের ধীরেন খাঁ, আদিত্য খাঁ এদের বাড়ি গেলে এখনও চোখে পড়বে এই স্বর্গবাতি দেওয়ার প্রথা। তাদের বিশ্বাস, এই আকাশবাতি অমঙ্গল এবং দুষ্ট শক্তিকে প্রতিহত করে সংসারের মঙ্গল করে।