হরি ঘোষ, দুর্গাপুরঃ বন্ধ স্কুলে বাড়ছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বসছে মদ গাঁজার ঠেক, হুশ নেই প্রশাসনের অভিযোগ স্থানীয়দের। বুধবার কুলডিহা আদিবাসী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা মিডডেমিলের সামগ্রী দিতে এসে নজরে আসে স্কুলের টিউবওয়েল উধাও, একাধিক শৌচাগারের দরজা ভাঙা, চারিদিকে পরে আছে মদের বোতল থেকে গ্লাস। করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুলগুলি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। দুষ্কৃতীরা স্কুল বন্ধের সুযোগ নিয়ে স্কুল চত্বরের ভেতর বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজ করছে বলেও অভিযোগ অভিভাবকদের। সন্ধ্যার পর থেকে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা স্কুল চত্বরের ভেতর প্রবেশ করছে এবং স্কুলের ভেতর তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্কুল চত্বরে পাঁচিল নেই যার জন্য সহজে দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করতে পারছে বলে অভিযোগ। এই স্কুলের দিকে সরকারের তেমন কোন নজর নেই বলেও অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষিকারা থেকে অভিভাবকরা। একশোর বেশি পড়ুয়া রয়েছে এই আদিবাসী স্কুলে। বর্তমানে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং স্কুলের শ্রেণীকক্ষ ভেঙে ভেঙে পড়ছে। স্কুল খুললে কি করে স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠাবে সেই নিয়েও একটা প্রশ্ন জাগছে অভিভাবকদের মধ্যে। অবিলম্বে স্কুলের চতুর্দিকে পাঁচিলের দাবি তোলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং অভিভাবকরা। মলানদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তিনি ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।