ভবানী পাঠকের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দিরের ইতিহাস

author-image
Harmeet
New Update
ভবানী পাঠকের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দিরের ইতিহাস

হরি ঘোষ, জামুড়িয়া: ভবানী পাঠকের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং সাধক বামাক্ষ্যাপার দ্বারা পূজিত সিঙ্গার মা কালী এখানে নিরাকার। প্রায় তিন শতাব্দী ধরে একটা বেদীকে মা কালী রূপে পুজো করে আসছেন সকলে। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এই সিঙ্গারন কালীমন্দির। জনশ্রুতি রয়েছে ডাকাত সর্দার ভবানী পাঠক এই সিনারন মাকে পুজো করতেন। পরবর্তী সময়ে সাধক বামদেব এখানে মায়ের পুজো করেছেন। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সুবল বন্দোপাধ্যায় জানান, 'অতীতে এই এলাকাটি ঘন জঙ্গলে ভরেছিল। সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারতেন না। অতীতে মায়ের বেদীর স্থলে উইঢিপি ছিল। সেই উইডিপির উপর অপরাজিতা ফুল গাছ দিয়ে ঢাকা থাকতো। ব্রিটিশ আমলে কয়লা উত্তোলন করার সময় মন্দিরের পাশের থেকে বারো হাত চুল, তিনটি পাথরের নেত্র, ও দুটি পায়ের খরম পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমানে সেইগুলি মন্দিরে পু্ঁতে দিয়ে সেখানে একটা বেদি তৈরি করা হয়েছে। কয়লা উত্তোলনের জন্য বহুবার এই মন্দির ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কখনো এই মন্দিরের ক্ষতি করতে পারেননি কেউ। পুজোর রাত্রে ছাগ বলির নিয়ম রয়েছে এই মন্দিরে।' জামুড়িয়া শিল্পাঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা বসানো হয় বলে জানান সুবল বাবু।