নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অধিনায়ক হিসাবে শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির নজর থাকবে বহুকাঙ্ক্ষিত ট্রফিটির দিকে। ২৪শে অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযানের সূচনা করবে ভারতীয় দল। হাইভোল্টেজ ম্যাচে নামার আগে বিরাটরা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন। ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া দুই শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধেই দাপুটে জয় পেলেও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তায় রাখবে বোলিং ডিপার্টমেন্ট।
সেপ্টেম্বর মাসে ৫ স্পিনার সহ ১৫ জন সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলেন চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নির্বাচকরা। সবাইকে অবাক করেই দীর্ঘ চার বছর সাদা বল ক্রিকেটের জাতীয় দলে জায়গা পান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অন্যদিকে কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী যুজবেন্দ্র চাহালের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা মেলেনি। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ভালো পারফর্মেন্স সত্ত্বেও চাহালের পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছে রাহুল চাহারকে। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া বোলিং করতে না পারায় ষষ্ঠ বোলারের অভাবও চিন্তায় রেখেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। যে কারণে একেবারে শেষ মুহূর্তে অক্ষর প্যাটেলকে বাদ দিয়ে শার্দূলকে দলে আনেন নির্বাচকরা।
দেখে নিন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীরদের তালিকা, দুটি নাম দেখে ভরসা পাবেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এই অভিজ্ঞ অফস্পিনার। দীর্ঘ চার বছর পর সাদা বল ক্রিকেটের জাতীয় দলে ফিরেছেন অশ্বিন। বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে মুখিয়ে থাকবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫টি ম্যাচ খেলে ২০টি উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন অশ্বিন। প্রস্তুতি ম্যাচের অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া শিকার করে ছন্দে এই অফস্পিনার।
হরভজন সিং
২০০৭ থেকে ২০১২ অবধি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন হরভজন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ভারতীয় বোলারদের তালিকায় যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এই অফস্পিনার। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য হরভজন এই মঞ্চে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ মেডেন ওভার (৪) করবার কৃতিত্বও রয়েছে হরভজনের।
ইরফান পাঠান
বামহাতি সিমার-অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানও ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন। দুইদিকেই বল স্যুইং করানোর ক্ষমতা রাখা এই বামহাতি পেসার ২০০৭ থেকে ২০১২ অবধি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। তার শিকার সংখ্যা ১৫।
আশিস নেহরা
দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় দলের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট সামলেছেন নেহরা। কেরিয়ারের শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ধোনির অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠেন এই বামহাতি পেসার। ২০০৯ থেকে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন নেহরা। ৬.৮৯’র নজরকাড়া ইকোনমির পাশাপাশি তার শিকার ১৫টি উইকেট। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও টুর্নামেন্টের সেরা দলে জায়গা পেয়েছিলেন নেহরা।
রবীন্দ্র জাদেজা, আরপি সিং
২০২১ বিশ্বকাপে অধিনায়ক কোহলির অন্যতম প্রধান ভরসা স্পিনার-অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে তার ঘূর্নি বেশ কার্যকরী। জাদেজার সমান সংখ্যাক উইকেট আছে মিডিয়াম পেসার রুদ্র প্রতাপ সিংয়ের। জাদেজা ১৭টি ম্যাচ খেলে ১৪টি উইকেট পেয়েছেন, অন্যদিকে রুদ্র প্রতাপ মাত্র ৯ ম্যাচেই একই সংখ্যক উইকেট দখল করেছিলেন।
জাহির খান
ভারতীয় দলের কিংবদন্তি পেসার জাহির খান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। ১২ ম্যাচ থেকে তার শিকারের সংখ্যাও ১২। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি অভিষেক ঘটানো জাহিরের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষবার খেলেছিলেন এই বামহাতি পেসার।