হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ ভারতের উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর জল বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশে নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জলের তোড়ে ভেঙে গেছে ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ নামক স্থানের ৪০০ মিটার গ্রোয়েন বাঁধ। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৪০০ পরিবারের ঘরবাড়ি।
বুধবার সকাল ৬টার পর থেকে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারীসহ ১০টি ইউনিয়ন এলাকার ২২টি গ্রাম বন্যার জলে তলিয়ে গেছে। এতে জলবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ। চরাঞ্চলের এসব বাড়িঘরে ৫ থেকে ৭ ফুট জল উঠেছে। জলের নিচে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট।
ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর ইসলাম ও তার লোকজন মাইকিং করে ছাতুনামা, কেল্লাবাড়ী ও ভেন্ডাবাড়ি চরের মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। তিস্তা বাজার, তেলিরবাজার, দোলাপাড়া, চরখড়িবাড়ি এলাকা তলিয়ে গেছে। চরের ফসলের জমি সব জলের নিচে। ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষজন গবাদিপশুসহ নিরাপদে সরে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
পাউবোর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ্দৌলা প্রিন্স বলেছেন, ভারতের উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার জল বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তিস্তা পয়েন্টে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ জলপ্রবাহ। এ জন্য তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে নদীর জলপ্রবাহ অব্যাহত রেখেছে।