হরি ঘোষ, দুর্গাপুরঃ পুজোর দিন গুলিতে জল অমিল, তাই পুজো পার হওয়ার পরপরই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হল বল্লভপুর গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা, অভিযোগ জল না মেলায় পুকুরের জল খেয়ে দিন গুজরান করতে হয়েছে তাঁদের। আর এর জেরে পেটে জটিল অসুখ সহ বিভিন্ন রোগে ভুগতে হচ্ছে ঐ সকল এলাকার বাসিন্দাদের। এমনই দাবি করে রবিবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলো এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রানীগঞ্জ ব্লকের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুপুর গ্রাম ও নুপুর কলোনি এলাকায় দীর্ঘ কুড়ি দিন ধরে জল আসেনি, এই অভিযোগ তুলে রবিবার সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত রাস্তায় বাঁশ দিয়ে আটকে, জলের পাত্র রেখে বিক্ষোভে সামিল হল এলাকার বাসিন্দারা। পরে বিক্ষোভের খবর পেয়ে বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিক্ষোভকারীদের লিখিতভাবে জল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তোলে এলাকাবাসীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি দীর্ঘ প্রায় কুড়ি দিন ধরে গুলাব সাইক্লোন এর পর থেকেই জল-সরবরাহ প্রায় বন্ধের মুখে নুপুর গ্রাম ও কলোনি এলাকায়। এর জেরে পুজোর দিন গুলিতে ব্যাপক দূর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। অবস্থা এমনই সঙ্গিন হয়ে পড়ে যে, বহু এলাকাবাসী কোনো বিকল্প উপায়ে না দেখতে পেয়ে পুকুরের জল দিয়ে দিন গুজরান করতে বাধ্য হন বলেই দাবি তাদের। কবে মিটবে জলের সমস্যা সেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে এলাকার বাসিন্দারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুজোর পর পরই এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের দাবি তুলে, বল্লভপুর থেকে নুপুর যাওয়ার রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। দীর্ঘক্ষন এই বিক্ষোভ চলার পর এলাকার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিধান মণ্ডল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা চালালেও তাঁরা তাদের বিক্ষোভ জারি রাখে। পরে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ট্যাংকারে করে জল সরবরাহ করার আশ্বাস দিলেও তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সুষ্ঠুভাবে সমাধান করার আশ্বাস দিলে, স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এদিনের এই বিক্ষোভের জেরে ওই পথ দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন যানবাহন আটকে যায়। বহু যানবহন ভূত পথে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছয়।