পুলিশের ছদ্মবেশে দূর্গাপুরের ব্যাস্ততম বাজারে কেপমারী

author-image
Harmeet
New Update
পুলিশের ছদ্মবেশে দূর্গাপুরের ব্যাস্ততম বাজারে কেপমারী

হরি ঘোষ, দূর্গাপুরঃ পুলিশ সেজে তল্লাশি, আর অভিনব এই কায়দায় দিনে দুপুরে কেপমারী দূর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার সম্পত্তি খুইয়ে এখন আতঙ্কে অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মী তুষার সরকার। মোবাইল সারাতে বৃহস্পতিবার সকালে বেনাচিতি বাজারে গিয়েছিলেন দূর্গাপুর ইস্পাত নগরীর গুরু নানকের বাসিন্দা তুষার সরকার। অভিযোগ,বেনাচিতি বাজারের ঘোষ মার্কেটের কাছে মোবাইলের দোকানে কর্মচারী না থাকায় ঐ দোকানের ম্যানেজার তখন তুষারবাবুকে বাজারে অন্য কাজ সেরে আসতে বলেন, সেই মতো তুষার বাবু বাইরে বেরিয়ে অন্য কাজে যাওয়ার আগেই আনুমানিক বছর তিরিশের লম্বাটে গরণের এক যুবক রাস্তার ওপারে একজনকে দেখিয়ে বলেন স্যার আপনাকে ডাকছেন। এরপরই শুরু ফিল্মি কায়দার নাট্যরূপ। নিজেদের পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে পুলিশ লেখা আইডেন্টি কার্ড দেখিয়ে শুরু হয় তুষার বাবুর তল্লাশি, তখন পুলিশ অফিসার পরিচয় দেওয়া ঐ ব্যাক্তি তুষার বাবুকে বকাবকি শুরু করেন, কেন সোনার চেন আংটি পড়ে বাজারে এসেছেন তিনি। এরপর সোনার চেন হাতের আংটি খুলে ফেলার অনুরোধ করে সেগুলো তুষার বাবুর কাছ থেকে নিয়ে সেগুলো সাদা কাগজে মুড়িয়ে দিয়ে তুষার সরকারের ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়ে ব্যাগটি দড়ি দিয়ে বেঁধে দিয়ে বলেন তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য। এরপর ব্যাগ খুলে তুষার বাবু দেখেন কাগজে মুড়িয়ে রাখা সোনা দানা সবকিছু উধাও রয়েছে কয়েকটি ছোট ছোট নুড়ি পাথর। আর এইদিকে সবকিছু বুঝে ওঠার আগে বাইকে চম্পট দিয়ে দেয় ঐ দুই ছদ্দবেশী পুলিশ। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার জিনিস চলে গেছে বলে অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মী তুষার কান্তি সরকার জানিয়েছেন। তুষার বাবুর অভিযোগ, স্থানীয় প্রান্তিকা ফাঁড়িতে মিনিট পনেরোর মধ্যে পৌঁছন তুষার বাবু,অথচ পুলিশ চোর না ধরার উদ্যোগ নিয়ে তাকেই বকাবকি শুরু করে দেয়। এখন দূর্গাপুর থানার অধীনে থাকা প্রান্তিকা ফাঁড়ির পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে।